Probase Ghorkonna: প্রবাসে ঘরকন্যার মহুয়ার ভাইয়ের বিয়ে! পাত্রী খুঁজতে গিয়ে এই কাণ্ড হল

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Probase Ghorkonna: ভাইয়ের বিয়ের জন্য শুধু আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন প্রবাসে ঘর কন্যার মহুয়া। বহু সম্বন্ধ দেখার পরও কেন ভাইয়ের জন্য পাত্রী পাওয়া যাচ্ছিল না? মহুয়া বললেন মনের কথা। তারকেশ্বরে গিয়ে কোন সারপ্রাইজ পেলেন? ভাইয়ের বউ যেন নিজেরই বোন। এত আপন করে নিতে জানেন মহুয়া। কেমন হলো ভাইয়ের রেজিস্ট্রি ? এই বিয়ের পিছনেও রয়েছে আরেক রহস্য।

 

মেদিনীপুরে এক সাদামাটা ঘরের বউ আমেরিকায় বসে খাঁটি বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে বিখ্যাত। প্রবাসী বাঙালি বলে তার আলাদা কোন অহংকার নেই। আমেরিকায় থেকেও
মনে প্রানে তিনি আজও বাংলার মেয়ে। তাইতো মায়ের জন্য যখন তখন মনটা কেঁদে ওঠে মহুয়ার। এবারও ঠিক তাই হল। মাকে দেখে আবেগ সামলাতে পারলেন না। জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলেন।

সুদুর আমেরিকায় বসে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, মায়ের গায়ের গন্ধটা সব থেকে বেশি মিস করতেন মহুয়া। তাইতো সুযোগ পেয়েই ছুটে চলে এসেছেন মেদিনীপুরের বাড়িতে। তবে উপলক্ষ আরো একটা বিষয় বটে। ভাইয়ের বিয়ে। মহুয়ার ছোট ভাই। সে আজ অনেক বড়। অনেক সমন্ধ দেখেও ভাইয়ের জন্য পাত্রী ঠিক হচ্ছিলো না। অবশেষে এক ঠাকুমাই দুই হাত এক করে দিলেন।

 

আত্মীয়দের মধ্যে মেয়ে ঠিক হল।  চোখের সামনেই ছিল কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে খুঁজে দিলেন ঠাকুমা। মেয়ের ঠাকুমা। ভাইয়ের বউ যেন মহুয়ার নিজের বোন। এতটাই আপন করে নিলেন। আর মহুয়া যেন মাটির মানুষ। রাস্তায় আচমকা সাক্ষাতে যেসব অনুরাগীরা ছবি তোলার জন্য এগিয়ে আসেন, তারাও যেন মহুয়ার বড্ড আপন। হাসিমুখে প্রত্যেকের আবদার রাখেন। আসলে বিদেশের মাটিতে বসে বাংলার মানুষের আবেগ বুঝতে পারেন না মহুয়া। তাকে কত মানুষ ভালোবাসেন, তাও টের পাননা।

 

দেশের মাটিতে পা রাখলে সেই ভালবাসার টান যেন আরো বাড়ে। মহুয়ার কাছে এ যেন বাড়তি পাওয়া। যদিও আরো বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিল। তারকেশ্বরের মন্দিরে মহাদেবের দর্শন। এই প্রথমবারের জন্য সুযোগ পেলেন তাও হঠাৎ। সকলের উপস্থিতিতে ভাইয়ের রেজিস্ট্রি হল। সাক্ষী থাকল দুই জামাইবাবু।

 

দেশের সংস্কৃতি, উৎসবকে দূরে থেকেও চেষ্টা করেন উপভোগ করতে। ছেলে মেয়েকেও শেখান। তাই তো মহুয়ার ছোট মেয়েটাও গড়গড় করে বাংলা বলে দিব্যি। সরস্বতী পুজো হোক বা যে কোনও উৎসব নিজে সুন্দ করে সাজেন, পরিবারকে সাজান মহুয়াদি দুই ছেলে মেয়েকে শেখান বাংলার ঐতিহ্য। বাংলাতেই সব সময় কথা বলেন যাতে। সন্তানরা মাতৃভাষাকে চিনতে পারে জানতে পারে।আসলে ভুলে যেতে বেশি সময় লাগে না কিন্তু আঁকড়ে বেঁচে থাকাটাই তো আসল। সেটাই বিদেশে থেকেও করে চলেছএন মহুয়া। নিজের বড় হওয়ার সাথে পরিচয় করে দিচ্ছেন সন্তানদের। তাই তো প্রবাসে ঘরকন্যার ভ্লগ আসলেই সাথে সাথে তার লক্ষ লক্ষ ভিউজ হয়ে যায়।

https://fb.watch/sVabNYaJfJ/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version