।। প্রথম কলকাতা ।।
Tollywood: দুঃখ ভুলতে দেদার হাসেন তিনি। বলতে পারেন, কোনও ভাবেই প্রাক্তনের মুখোমুখি হতে চান না। স্পষ্ট বলেন, কষ্ট সবারই হয়। রোস্ট হওয়ার ভয়ে তা লুকিয়ে রাখেন সকলে। তিনি অলিভিয়া সরকার। হাসিখুশি, খোলামেলা, প্রানোচ্ছ্বল অলিভিয়া এখন অনেক বেশি শান্ত। প্রেম ভালোবাসার আঘাত তাকে বদলে দিয়েছে অনেকটাই।
আপনারা তো দেখছেন, সম্পর্ক এখন বড়ই ঠুনকো। দুদিন যেতে না যেতেই ভাঙন ধরছে সম্পর্কে। বিচ্ছেদের পরেই দুই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে একে অপরের খুব ভাল বন্ধু! প্রেম ভাঙলেও রাগ নেই। কান্না নেই। অভিমান নেই।হাহাকার? না, সেটাও নেই! বিষয়টা অনেক মেকি লাগে না? ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে গেল অথচ তাতে কোনও খারাপ লাগা থাকবে না? অলিভিয়া যেন বাকি তারকাদের থেকে আলাদা। অবলীলায় তাই বলতে পারেন, আমার মধ্যে অনেক ব্যথা আছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিচ্ছেদ শুধু ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, সর্বত্র। হয়তো আমরা পারস্পরিক সম্মান হারিয়ে ফেলছি। কিংবা সমঝোতা থাকছে না। আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। কিছু তো সমস্যা থাকছেই, যা ফাঁক তৈরি করছে। সেই ফাঁক গলে আসছে বিচ্ছেদ।
গত ১৫ বছর ধরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন অলিভিয়া। দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় এসে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন। পেশা হিসেবে বেছে নেন অভিনয়কে। শুরুতে অনেকের মতোই তাঁকেও স্ট্রাগল করতে হয়েছিল। ‘স্লো অ্যান্ড স্টেডি’ নীতিতে বিশ্বাসী অলিভিয়া সরকার। তাঁর কথায়, “জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম। মনে আছে, শ্যুটিং দেখার জন্য আমি কলকাতায় আসতাম। সাফল্য পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করিনি কখনও। বরং ভেবেছিলাম, ধীরে ধীরে আমাকে বড় হতে হবে।” ইন্ডাস্ট্রিতে পনেরো বছর কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি।
সিরিয়াল, সিনেমা এবং ওয়েব ছবির দুনিয়ায় দাপিয়ে কাজ করছেন অভিনেত্রী অলিভিয়া সরকার। বললেন, কোনওদিনই তাড়াহুড়ো ছিল না। স্বপ্ন ছিল, একদিন ক্যামেরাটা আমার উপর ফোকাস করবে। আমারও শট নেওয়া হবে। কাজ তাঁকে আজ নিয়ে গিয়েছে সাফল্যের আলাদা উচ্চতায়। কিন্তু প্রেমের বেলায়? সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন, ভাঙনের পাশাপাশি নেটমাধ্যমের সৌজন্যে ‘রোস্ট’ হওয়ার ভয়ও রয়েছে। সেখানে তো আগেভাগেই মানুষের বিচারসভা বসে যায়! সম্ভবত তাই সব দুঃখের ওপরে দেখনদারি হাসি মুখে রাখতেই হয়। বিচ্ছেদ হলেও তা আড়াল করতে হয়।
অলিভিয়া জীবনে যখন প্রেম-বিচ্ছেদ এসেছিল তিনিও কি করেছিলেন? অতীত খুঁড়ে আর দেখতে চান না অভিনেত্রী। তবে দায়ী করেছেন তাঁর স্বাধীনচেতা মনোভাব আর তাঁর জনপ্রিয়তাকে। যার জেরে একাধিক সম্পর্ক ভেঙেছে তাঁর। তিনি কোনও দিন প্রেম লুকোননি। বিচ্ছেদের পর মেকি হাসিও হাসেননি। তবে আর চট করে প্রেমে পড়েন না অলিভিয়া।ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা তাঁর, ‘‘সব পারব। ‘প্রাক্তন’-এর মুখোমুখি কোনও দিন হতে পারব না। অনেক কষ্টে বিচ্ছেদ ভুলেছি। কোনও ভাবেই আর সেই যন্ত্রণা জাগাতে চাই না।’’
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম