ভারতের থেকে লুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য পাকিস্তানকে! সব ঋণ হতে পারে মাফ

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের থেকে লুকিয়ে পাকিস্তানকে এত বড় সাহায্য আমেরিকার। পাকিস্তানের থেকে অস্ত্র কিনছে যুক্তরাষ্ট্র কার ক্ষতি করার জন্য? পাকিস্তানের সব ঋণ মাফ হয়ে যেতে পারে এই একটা স্টেপে ভারত কী এবার তার পাল্টা দেবে? এ খবর ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ খবর ফাঁস হতে দেয়নি কারণ এখন এই খবরে গোটা দুনিয়া অবাক। বাইডেন ভারতে এলেন জি২০ সম্মেলনে তারপরই ফাঁস হয়ে গেল পাক-আমেরিকা গোপন চুক্তি। আমেরিকার শর্তের সামনে মাথা ঝুকিয়েছিল পাকিস্তান, আর সেজন্যই নাকি ইসলামাবাদ পেয়েছে আইএমএফের থেকে ঋণ। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে পাকিস্তান সরকারের নথিপত্রে। কী ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শর্ত এতদিন পাকিস্তান যা প্রকাশ্যে করেছিল এবার আমেরিকার সাহায্যে সেই খেলাই শুরু হয়েছে গোপনে। পাকিস্তানের কাছ থেকে গোপনে অস্ত্র কিনছে আমেরিকা কিন্তু আমেরিকার হঠাৎ পাকিস্তানের অস্ত্রের কেন দরকার পড়ল? কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই অস্ত্র?

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নাকি নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে চেয়েছিল পাকিস্তান কিন্তু আমেরিকার চাপে পড়েই রুশ বিরোধিতার পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ। গোপনভাবে ইউক্রেনকে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করেছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের গ্রীষ্ম থেকে ২০২৩ সালের বসন্ত পর্যন্ত আমেরিকাকে অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান, আর সেই অস্ত্র যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ইউক্রেন সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তান সরকারের গোপন কয়েকটি নথি সেখান থেকেই জানা গিয়েছে মার্কিন হস্তক্ষেপেই পাকিস্তানকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে আইএমএফ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটায় একদিকে পাকিস্তানকে সাহায্য করা আবার পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া তারা এখনও কতটা দুর্বল। পাকিস্তানকে কার্যত পুতুলের মতো ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াকিবহাল মহলের দাবি তাহলে লজিক বলছে যদি এই নথিপত্রের তথ্য সত্যি হয় তাহলে আইএমএফের থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে শাহবাজ শরিফের যে গলা ফাটিয়ে নিজে ক্রেডিট নিচ্ছিলেন আসলে সেটার কোনও মানেই হয় না। তারা আমেরিকার শর্ত মেনেছে তাই তারা ঋণ পেয়েছে। সূত্রের খবর, গ্লোবাল মিলিটারি প্রোডাক্টস নামে একটি সংস্থার মাধ্যমেই এই অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, কিন্তু ইউক্রেনের নানা বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এই সংস্থার। মার্কিন মধ্য়স্থতার ফলেই ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান। তারপরেই নাকি সমস্ত মতানৈক্য দূর করে
পাকিস্তানকে ঋণ দিতে রাজি হয় আইএমএফ। ইমরান খান পাকিস্তানের কুর্সিতে বসে আমেরিকার বিরুদ্ধে কার্যত বিষ উগলে ছিলেন। বরং সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার একটা প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন ইমরান খান। যদিও ইউক্রেনের কাছে পাকিস্তানের অস্ত্র বিক্রির খবর শুনেও রাশিয়া সেভাবে কোনওদিনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্টেপ নেয়নি। এবার আমেরিকার এমন পলিটিক্স ফাঁস হওয়ার পর মস্কো পাকিস্তানকে কোন চোখে দেখবে সেটাই দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version