হিজবুল্লাই শক্তি বাড়াচ্ছে ইজরায়েলের! যুদ্ধে নামতে এত ভয়, নাসারুল্লা পিছু হটলেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

হিজবুল্লা নিজে ইজরায়েলের হাত আরও শক্ত করে দিল। মুসলিম বিশ্বের ঐক্য কি ভেঙে যাচ্ছে? ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কোনও যুদ্ধ নয় এ কেমন ঘোষণা? হিজবুল্লা প্রধান নাসারুল্লা বলেছেন শুনলে চমকে যাবেন। হামাসের আত্মবিশ্বাস ভেঙে চুরমার করে দিল হেজবুল্লা? ইজরায়েল কি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আসলে মুসলিম বিশ্বের এক হওয়ার চেষ্টা কতটা দুর্বল? হামাস কি ভেবেছিল তাদেরকে শেষ হতে দেখলে হেজবুল্লা তাদের সমর্থনে যুদ্ধে নামবে? যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের দাবি এখানেই আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বেড়ে গেল ইজরায়েলের। ইরান সমর্থিত হেজবুল্লা তা নিজের হাতেই বাড়িয়ে দিল। তেল আভিভের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়ালে হার নিশ্চিত। এমনটা জেনেই কি পিছু হটছে লেবাননের এই দুর্ধর্ষ সংগঠন? নাকি ইরান যুদ্ধ ছেড়ে কূটনীতির পথে হাঁটছে বলে হেজবুল্লাও সেই পন্থাই নিল। প্রায় বন্ধ গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল। ইজরায়েলি সেনার লাগাতার আক্রমণে হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এতে সত্যিই কি ষ প্যালেস্টাইনের সমর্থনে যারা রয়েছেন তাদের কিছু করার আছে?

আমেরিকাকে এই যুদ্ধে নাটের গুরু হিসেবে ইরানের দাগিয়ে দেওয়ার পরই মুখ খুলেছেন হেজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লাহ। গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর প্রথম চার সপ্তাহ হিজবুল্লাহপ্রধান সাঈদ হাসান নাসরাল্লাহ কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। কৌতুহল ছিল শক্তিশালী মিলিশিয়া সংগঠনের নেতা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ ঘোষণা করবেন কি? কিন্তু শেষমেশ অনেকের উত্তেজনার আগুনে জল ঢাললেন নাসরাল্লাহ। তিনি পরিস্কার বলে দিলেন এটা যুদ্ধের সময় নয় কিন্তু এই যে ২ দিন আগে হেজবুল্লার সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাঈম কাসেম বলেছিলেন গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন এই অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুতর ও ভীষণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এর পরিণতি কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু নাসারুল্লার বক্তব্যে কোথায় গেল সেই হুঙ্কার? বরং বিশ্লেষকেরা বলছেন শনিবার দেওয়া বক্তব্যে একটা বিষয় ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো ঘোষণাই তিনি করেননি এবং সবথেকে বড় কথা গাজার যা পরিস্থিতি সেই নিয়েও কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও নাসারুল্লা করেননি।

ওয়াকিবহাল মহল বলছে একটা কথা পরিস্কার যদি আরবরা যুদ্ধে না জড়ায়, এমনকি ইরানও একা একা পা না বাড়ায় তখন তাদের মদতপুষ্ট ছায়া বাহিনীগুলো ফিলিস্তিনিদের জন্য সত্যিই কতটা লড়বে সেটাই প্রশ্ন। তবে এসব প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ দুটিই হতে পারে। তাহলে লেবাননের হিজবু্ল্লা এখন করবেটা কি? লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সীমিত মাত্রার সংঘাত ৭ অক্টোবরের পর থেকেই চলছে। যেকোনো সময় ইসরায়েল সেই সংঘাতের মাত্রা বাড়াতে পারে। হিজবুল্লাহ বলছে তারা এর জন্য প্রস্তুতও আছে কিন্তু সংগঠনটি এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে রাজনৈতিকভাবে কত দিন এবং কতটা পিছিয়ে থাকবে তা নির্ভর করবে ইরান ও নাসরাল্লাহর ওপর ইসরায়েলি ড্রোন লেবাননের বহু ভেতরে (৪৫ কিলোমিটর) ঢুকে হামলা করেছে। হিজবুল্লাহ অবশ্যই এর প্রতিশোধ নেবে। সম্ভবত তার কাছে থাকা শক্তিশালী দূরপাল্লার রকেট দিয়ে হামলা চালিয়ে কিন্তু বড় কোনো যুদ্ধ হবে না নাসরাল্লাহ শনিবার নিজেই বিশ্বকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version