হামাসের বিষদৃষ্টি, ইসরাইলের দফারফা ? উইক পয়েন্ট গাজা। কোন মন্ত্রে পেছাচ্ছেন নেতানিয়াহু

।। প্রথম কলকাতা ।।

হামাসের শরীরে দানবীয় শক্তি? এক মাসেই কিসসা খতম? গাজার বুকে ইসরাইলের দফারফা? প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে কোন লেভেলের পাওয়ার? কোন মন্ত্রে হার মানছে ইসরাইল? গাজাই উইক পয়েন্ট, কীভাবে মুখ থুবড়ে পড়লো আইডিএফ এর লিমিটেড গ্রাউন্ড রেড? বেফাঁস নেতানিয়াহু, ফের ফিরছে না তো ভয়ানক ৭ অক্টোবর? একটাই আতঙ্ক, সুযোগ হারায় না হামাস। গাজার দোহাইয়ের সামনে মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হলো ইসরাইল? নাকি হামাসের ভয়ে পিছু হটছে নেতানিয়াহুর দেশ ?হামাস ইজরায়েল যুদ্ধের এক মাস পূর্ণ। সময়ের সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের এই লড়াই। বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে কম তো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়নি।বারংবার তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু যুদ্ধের এক মাসে অন্য পথে হাঁটলো ইহুদি ভূমি। ত্রাণ আর পণবন্দিদের স্বার্থে গাজায় ‘কৌশলগত বিরতি’র সিদ্ধান্ত? আমেরিকার জন্যই মত বদল? প্রায় আড়াইশো পণবন্দী হামাসের কবজায়! তাদের কী হবে?

না, ঠিক সাধারণ যুদ্ধ-বিরতি নয়। যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ইসরাইল সে কথা ভাবছেও না, সাফ জানালেন নেতানিয়াহু। তবে খুব অল্প সময়ের জন্য ছোট খাটো বিরতিতে সম্মতি জানাতে পারে ইসরায়েল সরকার। এটাকে “কৌশলগত বিরতি” বলা যায়। বিষয়টা বিবেচনাধীন। মূলত ত্রাণ পৌঁছানো ও পণবন্দীদের বেরিয়ে আসার পথ প্রশস্ত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। এই সুযোগে পাল্টা অ্যাটাকের প্ল্যান ছকছে না তো হামাস? ভাবছে না ইসরাইল। বরং হামাসকে সমূলে বিনষ্ট করার যে প্রতিজ্ঞা নেতানিয়াহু করেছিলেন, তাতেই এখনও বদ্ধপরিকর ইসরায়েল। আমেরিকার ইচ্ছেপূরণ হচ্ছে অবশেষে। কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের উপর তো কম চাপ আসেনি। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু।প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায়। বহু ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। এর পরেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু।

যুদ্ধে আমেরিকা ইসরায়েলকে সমর্থন করে কিন্তু সেই আমেরিকাও গত কয়েক দিন ধরে মানবিকতার খাতিরে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। আর এবার নেতানিয়াহুর দেশ সেই আবেদন মেনে সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধে রাজি হলে যুক্তরাষ্ট্রের উপর আরব বিশ্বের ক্ষোভ কিছুটা হলেও কমবে।ইসরাইলের লক্ষ্য স্পষ্ট। প্রথম পর্যায়ে, হামাসকে পরাজিত ও ধ্বংস করার জন্য তাদের অবকাঠামো তছনছ করা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনারা, হামাস সদস্যদের খুঁজে বের করে নির্মূল করতে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাবে। তৃতীয় পর্যায়ে, ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হবে। আর ঠিক এই পথে চলতে গিয়েই, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা এতোটাই তীব্র রূপ নিয়েছে যে, গত এক মাসে ওই উপত্যকায় যতো হতাহত হয়েছে তা ২১ মাসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই পরিস্থিতির শেষ কোথায় কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও কোন সুযোগ নেই ওই লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের। মিশরের সীমান্ত ঘেঁষা রাফাহ ক্রসিংও খোলা হচ্ছে শর্ত সাপেক্ষে। খাদ্য, বিশুদ্ধ জল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে অবরুদ্ধ গাজার লাখ লাখ অসহায় মানুষ অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version