হামাস যুদ্ধের বীজ চীনের মাটিতে ? আরব বিশ্বের ডিরেক্ট ল্যান্ড, গাজা বদলাবে কোন মন্ত্রে

।। প্রথম কলকাতা ।।

হামাস যুদ্ধের বীজ বুনছে চীন? এটা কি দেখলো আরব বিশ্ব? যে ডিরেক্ট ল্যান্ড বেইজিং এ। সত্যিই কী মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ অপারেট করছেন শি জিংপিং? গাজা কে বদলে দিতে চীনের হাতে পাওয়ারফুল মন্ত্র। অস্ত্র ছাড়া কিভাবে লড়বেন নেতানিয়াহু? এবারেই আসল খেলা। চীনের অক্সিজেনে বাঁচবে গাজা? দেখুন চীনা ব্যারিকেডের দম, আইডিএফের লিমিটেড গ্রাউন্ড রেড তবে কী ডাহা ফেইল? মধ্যপ্রাচ্যের অদৃশ্য মায়াজালে আটকে গেল চীন।শান্তি ফেরাতে শি জিং পিং কোন টোটকা গুঁজে দিলেন আরব বিশ্বের হাতে? মাথা হয়ে উঠতে চাইছে চীন? কীসের টানে ছুটে গেছেন আরব নেতারা ? প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষ, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, সৌদি আরব ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি সামিটে যোগ দিতে বেইজিং সফর করছেন। চলমান হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষকে শেষ করাই এই সামিটের একমাত্র টার্গেট। সেখানেই, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তারা সকলে একত্রে একযোগে কাজ করে গাজা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাইছেন।

যে গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের যে বিপর্যয় বিশ্বের সব দেশকে এফেক্ট করছে সেই যুদ্ধ থামাতে চীন কী সত্যিই কাফি? আরব বিশ্ব চীনের উপর এতোটা ভরসা করতে পারছে? যে চীন এই যুদ্ধ শুরুর পর নিজের স্ট্যান্ড পয়েন্ট ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। একবার প্যালেস্টাইন, একবার ইসরাইল একেকবার একেক পক্ষকে সাপোর্ট করেছে। সেই চীন কিনা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে ইতি টানবে? কি বলছেন সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী? সাফ কথা তারা চীনে গেছেন একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে। অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করতে হবে। ইসরায়েলকে রুখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ভুলে গেলে চলবে না, ভারত ও কিন্তু বারংবার একটা কথা বলেছে। হামাস এবং ইসরায়েলি সেনার সংঘর্ষে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না! মোদী এর তীব্র নিন্দা করেছেন।সাধারণ মানুষের মৃত্যু রুখতে গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে, এক হতে হবে, হাতে হাত মেলাতে হবে গ্লোবাল সাউথ থেকে এই কথা দুদিন আগেই বলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে চীন। সবটাই কি ভারতকে দেখে? জানিয়ে রাখি, গত ৭ই অক্টোবর ইসরাইলের বুকে আমার হামলা চালানোর পর যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নিতানিয়াহু। হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে, প্যালেস্টাইনের বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে গাজায় আক্রমণ শুরু করে আইডিএফ ইজরাইলি ফৌজ। তারপর থেকে প্যালেস্টাইনের গাজায় হাজার হাজার মানুষ নিহতের প্রতিবাদ এবং যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিশ্বে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। কিন্তু ইসরায়েলের অপারেশন একই ভাবে চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সাপোর্ট করছে। মূলত এই যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের এমন অবস্থান পরিবর্তনে কূটনৈতিক খেলা শুরু করেছে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার প্রধান। যা, ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়াতে চলেছে সামনের দিনগুলোতে।

ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার অংশ হিসেবে চীন সফর করছেন আরব ও মুসলিম বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এটা সবে শুরু। এখন দেখার, আরব বিশ্বের ভরসা বিশ্বাস টিকিয়ে রাখতে চীন কোন পথে হাঁটে?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version