মহালয়ায় তর্পণে যাচ্ছেন? কি কি সাবধানতা মেনে চলবেন জেনে নিন

।। প্রথম কলকাতা ।।

অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আলোকজ্জ্বল দেবীপক্ষের আগমনের দিন। পিতৃপক্ষের অবসানে জীবনে মহা লগ্ন নিয়ে আসে ‘মহালয়া’। তর্পণের শেষে সূর্যপ্রণাম করে অসুরবিনাশিনী দেবীকে আহ্বান করা হয়। অনেকেই সপরিবারে এদিন গঙ্গাস্নানে যান। অনেকে বিভিন্ন নদীতেও তর্পণ করেন। এসময় কিছু সাবধানতা মেনে চলতে হবে আপনাকে। সতর্ক না হলে পুরো পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই কি করবেন, কোন ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন চলুন তা দেখে নেওয়া যাক।

রাজ্য তথা দেশজুড়ে মা গঙ্গার ঘাটে ঘাটে মহালয়া মানেই পুরোহিত আর যজমানদের থিকথিকে ভিড়। এইদিন ট্রেনে বাসে খুব ভিড় হয়। তাই হাতে যথেষ্ট সময় রাখতে হবে আপনাকে। এখনও দিনের বেলায় বেশ গরম থাকছে। তাই রোদের আঁচ থেকে রক্ষা পেতে সকাল সকাল বের হন। একসঙ্গে সবাই স্নান করতে গঙ্গায় নামবেন না। প্রথমে পরিবারের পুরুষ সদস্যকে তর্পণ করতে সাহায্য করুন।তাঁর তর্পণ সাড়া হলে একে একে স্নান করার জন্য তৈরি হন। মনে রাখবেন, গঙ্গার অনেক ঘাটই বেশ পিছল। তাই নামতে হবে খুব সাবধানে। পা পিছলে পড়ে গেলে পুরো পুজোই মাটি হয়ে যেতে পারে। অমাবস্যায় জোয়ার কখন আসছে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। এসময় গঙ্গা ফুলে ফেঁপে ওঠে। স্রোতও বেশি থাকে। তাই সাবধানে স্নান সাড়তে হবে। সাঁতার না জানলে গভীর জলে একদম যাবেন না। তাতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে পদে পদে। পরিবারের ছোটরা গঙ্গাস্নান করতে নামলে তাদের হাত শক্ত করে ধরে রাখুন। তারা ডুব দিতে না চাইলে জোরাজুরি করবেন না। বাড়ি থেকে মগ আনলে ভালো হয়। হাঁটুর নিচ সমান জলে দাঁড় করিয়ে মগে করে মাথায় জল ঢেলে দিন। তাতেই গঙ্গা স্নানের সমান পুণ্য মিলবে।

বেশিক্ষণ জলে থাকবেন না। মনে রাখবেন গঙ্গাস্নানে আপনি অভ্যস্ত নন। নতুন জলে ঠান্ডা লাগতে পারে। বাড়ি থেকে সর্ষে বা নারকেল তেল সঙ্গে এনেছেন নিশ্চয়ই। সেই তেল মেখে স্নান করুন। তাতে ত্বকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। জল মাথায় নিয়ে ভিজে কাপড়ে বেশিক্ষণ থাকা চলবে না। বাড়ি থেকে নিশ্চয়ই পর্যাপ্ত শুকনো পোশাক সঙ্গে এনেছেন। দ্রুত পোশাক বদলে ফেলুন। তর্পণকে কেন্দ্র করে কলকাতার ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুলিশ৷ বেশ কয়েকটি ঘাটে ভোর থেকেই কর্তব্যরত থাকবে রিভার ট্রাফিক পুলিশ ফোর্স।

শহরের বাবুঘাট, আর্মেনিয়াম ঘাট, বিচালি ঘাট-সহ একাধিক জায়াগায় মোট আটটি স্পিডবোট নিয়ে টহল দেবেন কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিক পুলিশ ফোর্স।এর পাশাপাশি এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকেও। এবার ট্রাফিক পুলিশের স্পিডবোট ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের বাহিনীরাও বিভিন্ন ঘাটে মোতায়েন থাকবে। নদীতে একটি নির্দিষ্ট সীমানার পর আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। সব সময় তাদের পরামর্শ মেনে চলুন। এবার কিছু খাওয়া দাওয়া সারুন।বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকা ঠিক নয়। তবে খাবার বাছুন সতর্কতার সঙ্গে। তেলেভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version