Ginger Price: আগুন জ্বালাচ্ছে আদা! ভারত নাকি বাংলাদেশ কারসাজি কোথায়?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ginger Price: আদা বিক্রির নামে ভাওতাবাজি চলছে। হু হু করে বেড়ে চলেছে আদার দাম। ভারত বাংলাদেশ, সর্বত্রই এক পরিস্থিতি। কিন্তু, কাদের কারসাজিতে বাড়ল আদার দাম? ১৩০ টাকায় আমদানি করা আদা ৩০০ বা ৫০০ টাকায় বিক্রির লজিকটা জানেন কি? এই মশলাগুলোর দাম ও আকাশছোঁয়া। খাবে কি মধ্যবিত্তরা? আদার দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। কোনো কোনো দোকানে ৫০০ টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হচ্ছে। জোগান কম, বৃষ্টির অভাবে ফলনেও ভাটা তাই ভারতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আদা।

কিন্তু বাংলাদেশ? শুনলে চমকে যাবেন বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা কিভাবে মানুষকে আদা বিক্রির নামে টুপি পড়াচ্ছে। জানুন তাহলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আদার দাম ও বর্তমান এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা প্রতি টন আদা ১ হাজার ৩৫০ ডলার দরে কিনছেন। এর ওপরে শুল্ক থেকে শুরু করে যত ধরনের ডিউটি চার্জ আছে সব যোগ করে, প্রতি ডলারের মান ১১১ টাকা ধরলেও আদার কেজি দাঁড়ায় ১৭০ টাকা। অথচ সেই আদা কোথাও ৩০০, আবার কোথাও ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। না, মানতেই পারছে না সাধারণ মানুষ।

যদিও, আত্মপক্ষ সমর্থন করে ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছে, চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের পণ্য ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত আটকে রাখা হয়। সেখানকার ভাড়া ও ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করলে বাজারে আদা আসার পর লাভ ওঠাতে দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ভোক্তা অধিকার অধিদফতর এসব মানতে নারাজ। তাঁরা বলছে পণ্য আটকে রাখলে ভোক্তা অধিকার সরাসরি বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তবে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।অর্থাৎ,‌ আদার দাম বাড়ার নেপথ্যে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত রয়েছে এটা স্পষ্ট।

না এখানেই শেষ নয়, কি চলছে জানুন। চীন থেকে বাংলাদেশ কোনো আদা আমদানি হচ্ছে না। আদা ঢুকছে মূলত ভারত আর মিয়ানমার থেকে‌। কিছু আদা থাইল্যান্ড থেকে। অথচ বাজারে চায়না আদার নাম করে বেশি দামে আদা বিক্রি হচ্ছে, যা ভাওতাবাজি ছাড়া কিছুই না। কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ মানে ক্যাব তো বলছে, বাজারে চায়না আদার নামে যা বিক্রি হচ্ছে তা আসলে দেশি আদা। পাহাড়ি এলাকা থেকে দেশি আদা এনে চায়না আদার নামে বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এর পাশাপাশি আরও কারণ আছে বৈকি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য বলছে, চলতি বছর আদার উৎপাদন গত বছরের তুলনায় কম হয়েছে। গত বছর ২ লাখ ৪৫ হাজার টন আদা উৎপাদন হলেও এবার তা কমে ১ লাখ ৯৩ হাজার টন। দেশে সাড়ে ৩ লাখ টনেরও বেশি আদার চাহিদা থাকায় আমদানির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অস্বাভাবিক হারে মুনাফা তুলে নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে, কোথাও প্রতি কেজি আদায় একেকজন ব্যবসায়ী ১০০ টাকা, ক্ষেত্র বিশেষ এরচেয়েও অনেক বেশি লাভ রাখছেন। তবে শুধু আধা নয় এর সাথে বাজারে ষ এলাচ, দারচিনি, ধনিয়া, লবঙ্গ, জিরাও বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত বেশি দামে। মূলত কম দামে এসব মসলা কিনে অধিক মুনাফায় বিক্রি করছেন কুচক্রী ব্যবসায়ীরা‌। আর ব্যবসায়ীদের এই কারসাজির জেরেই সাধারণ মানুষের একেবারে নাজেহাল অবস্থা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version