Pakistan: ইমরান খানের গ্রেপ্তার ঠেকাতে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘গিলগিট-বালতিস্তান’ বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে, দাবি পাক তথ্যমন্ত্রীর

।। প্রথম কলকাতা ।।

Pakistan: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করার জন্য আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বাধা দিতে পাঞ্জাব পুলিশের বিরুদ্ধে “গিলগিট-বালতিস্তান বাহিনী” ব্যবহার করা হচ্ছে। বুধবার এমনটাই বলেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম ওরঙ্গজেব। তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে লাহোরে তার জামান পার্কের বাসভবনের বাইরে পুলিশকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেয় লাহোর হাইকোর্ট। এরপরই মিডিয়াকে ভাষণ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী।

গত মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে তার জামান পার্কের বাসভবনে উপস্থিত হয়েছিল লাহোর পুলিশ। তবে ইমরান খানের সমর্থকরা তার বাসভবনের বাইরে বিপুল সংখ্যায় জড়ো হলে পুলিশ ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। খান, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান উপহার কেনার জন্য ক্রসহেয়ারে রয়েছেন, তোশাখানা নামক রাষ্ট্রীয় ডিপোজিটরি থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে তিনি প্রিমিয়ার হিসেবে পেয়েছিলেন একটি দামী গ্রাফ ঘড়ি এবং লাভের জন্য তা বিক্রি করে দেন।

১৩ মার্চ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাফর ইকবাল ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং পুলিশকে নির্দেশ দেন তাকে ১৮ মার্চ আদালতে হাজির করতে। ডন সংবাদপত্র অনুসারে, “ওরঙ্গজেব বলেছিলেন যে একটি ‘গিলগিট-বালতিস্তান বাহিনী’ পাঞ্জাব পুলিশকে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।” তথাকথিত ‘গিলগিট-বালতিস্তান সরকার’ ইমরান খানের পিটিআই দল শাসিত।

প্রতিবেদন অনুসারেতিনি দাবি করেছেন যে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে ৬৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ওরঙ্গজেব পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশে অশান্তি ও নৈরাজ্য ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন যে ইমরান খান পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নারী ও শিশুদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ডন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওরঙ্গজেবের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল সরকার বুধবার ‘গিলগিট-বালতিস্তানের’ আইজিপি মুহাম্মদ সাঈদকে বদলি করেছে।

মঙ্গলবার পিটিআই প্রধানের সমর্থকরা তোশাখানা মামলায় তাদের নেতাকে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত রাখতে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হওয়ার পরে লাহোরের জামান পার্ক এলাকাটি একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। যার ফলে উভয় পক্ষই আহত হয়েছিল।

Exit mobile version