Palak Muchhal: গরিবের মসিহা পলক মুচ্ছল, প্রায় ৩০০০ অপারেশন করিয়ে রেকর্ড গায়িকার

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Palak Muchhal: প্রায় ৩০০০ শিশুর হার্ট অপারেশন করিয়ে নজিরবিহীন উদাহরণ স্থাপন করলেন পলক মুচ্ছল‌‌। গরিব দুঃখীদের মসিহা হয়ে উঠলেন বলিউড গায়িকা।দুঃস্থদের চিকিৎসার জন‍্য তৈরি করেছেন বিনামূল‍্যের হাসপাতালও। গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও উঠেছে পলকের নাম। বলিউড গায়িকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।জানেন ঠিক কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন পলক? শুনলে গর্ব অনুভব করবেন আপনিও। তাহলে চলুন আজ জেনে নিই পলক মুচ্ছলের কাহিনী।

 

বয়স সবে তিরিশের কোঠা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যেই নজিরবিহীন উদাহরণ গড়ে ফেলেছেন প্লে ব্যাক সিঙ্গার পলক মুচ্ছল। তিনি যা করেছেন তার যত প্রশংসা করা যায় সেটাই যেন কম পড়ে যায়। যেখানে বলিপাড়ায় বাকি সেলেবরা পার্টি, ইভেন্ট আর মোচ্ছবে ব্যস্ত, সেখানে পলক নিজেকে মানব সেবায় ব্রতী করেছেন। তার কর্মকাণ্ডের নমুনা শুনলে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবেন আপনিও।

 

শুনলে অবাক হবেন যে, এই বয়সেই আস্ত একটা হাসপাতাল তৈরি করেছেন পলক। যাদের টাকাপয়সা নেই, গরিব তারা গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন এখানে। তবে হার্ট পেশেন্টদের জন্য তিনি যেটা করেছেন সেটা জাস্ট অনবদ্য। তার সেই কর্যযজ্ঞের কথা শুনলে অবাকই হবেন। শুনতে চান তার সেই কর্মকাণ্ডের কথা? তাহলে শুনুন।

 

আসলে দেশের ছোট্ট ছোট্ট শিশু, যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে কিন্তু টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারছেননা, তাদের জন্য মসিহা হয়ে উঠেছেন তিনি। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এরকম ২৯১২ জন শিশুর হার্ট অপারেশন করিয়েছেন পলক। বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। পরিসংখ্যানটা শুনে অবাক হলেন তাই না? হওয়াটাই ভীষণ স্বাভাবিক। আমরা কয়জনই বা এইভাবে ভাবতে পারি বলুন তো?

 

অবশ্য যারা পলককে কাছ থেকে চেনে বা জানে তারা আর অবাক হননা। গায়িকার হৃদয় যে সোনায় বাঁধানো এটা তারা একবাক্যে স্বীকার করেন। ভারতে থেকে ভারতের প্রতি তার সম্মান, ভারতীয়দের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সত্যিই মুগ্ধ করে। বারংবার তিনি প্রমাণ করেন যে, তিনি অনন্যা। জানেন পলক এই কাজগুলি কখন থেকে শুরু করেছিলেন?

 

শোনা যায়, মাত্র চার বছর বয়স থেকে মানুষের জন্য কাজ করা শুরু করেছিলেন গায়িকা। ঐ বয়সেও তার জ্ঞান ছিল টনটনে। প্রথমে তিনি যোগ দিয়েছিলেন কল‍্যাণজি আনন্দজির লিটল স্টার গ্রুপে। কার্গিল যুদ্ধের সময় গায়িকার বয়স ছিল মাত্র সাত। ঐটুকু বয়সেই শহিদ জওয়ানদের পরিবারের জন্য ইন্দোরের দোকানে দোকানে গায় গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন ছোট্ট পলক।

 

দাঁড়ান দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়। শোনা যায়, ঐ বছর সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্যেও চ্যারিটি শো অবধি করেছিলেন খুদে গায়িকা। সেই টাকা তিনি পাঠিয়েছিলেন ওড়িশার বন্যা কবলিত এলাকায়। আজও তার বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা টাকা তিনি দেশের ও দশের সেবার কাজে লাগান।

 

শুনলে আপনারও গর্ব হবে যে, সমাজসেবামূলক কাজের জন‍্য এই অল্প বয়সেই গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে তার। নাম উঠেছে লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও। ভারত সরকারও সম্মানিত করেছে তাকে। এমন একটা মানুষকে কি শ্রদ্ধা না জানিয়ে পারা যায়? আপনি কী বলবেন পালককে নিয়ে? লিখতে পারেন আমাদের কমেন্ট বক্সে।

 

https://fb.watch/ss71IVpTHC/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version