AK Abdul Momen: ‘মিডিয়া পাত্তা না দিলে বিদেশিরা ঘরে বসে হুক্কা খাবে’, দাবি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের

।। প্রথম কলকাতা ।।

AK Abdul Momen: বিদেশিরা নিজেদেরকে দেশের রাজা মনে করেন মিডিয়ার কারণে। এমনই কিছু দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ.কে. আব্দুল মোমেন (AK Abdul Momen)। বুধবার সিলেট সদর ও জকিগঞ্জ উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন এবং কার্যক্রম জোরদার করা নিয়ে মত বিনিময় করার পর একথা বলেছেন মন্ত্রী। Jagonews24.com সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ১৪ বছরে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সাহস এবং দেখার ক্ষমতা বাংলাদেশে (Bangladesh) সাফল্য এনেছে। আমরা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে অনেক অনেক ভালো জায়গায় রয়েছি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ‘দারিদ্র্যতা এক অত্যন্ত বড় অভিশাপ। আর আমরা তার অর্ধেকটা নামিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশ এখন দরিদ্র দেশ নয়, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রয়েছে’। ডক্টর মোমেনের বক্তব্য, যেহেতু আমরা প্রতিবেশী দেশ থেকে ভালো আছি। এজন্য অনেকে আকর্ষণবোধ করছেন। অনেকে অনেকভাবে ফায়দা লুঠতে চাইছেন। বিশ্বের যেসব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আছে, সেখানে উন্নতি হয়। বাংলাদেশেও তাই হয়েছে। কিন্তু যেসব দেশে নেই, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের কিছু লোক চায় না দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করুক। কারণ দেশ অশান্ত থাকলে তাঁরা ফায়দা তুলতে পারবে’।

তাঁর কথায়, ‘অনেকেই চাননা আমাদের দেশ উন্নত হোক। এজন্য তাঁরা বিভিন্ন মিথ্যে তথ্য দিয়ে লোকজনকে উসকে দেন। দেশ অশান্ত হলে তাঁরা কিন্তু শান্তিতে থাকবেন না। বিশ্বের যেসব দেশে যে পক্ষ অশান্তি সৃষ্টি করেছে, তারা কিন্তু শান্তিতে নেই’। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত। সবচেয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন বাঙালিরা। বিদেশিরা আমাদের যখন কোনও পরামর্শ দেন, তখন সেটি হাস্যকর লাগে। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, যে দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য রক্ত দিয়েছেন। দুনিয়ার আর কোথাও এমন নজির নেই। অথচ বিদেশীরা আসে আমাদের বোঝাতে। তাঁদের দেশে নির্বাচন হলে ২৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়, আর আমাদের দেশের ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। অথচ তাঁরা বড় বড় কথা বলে। তাঁরা তাঁদের নির্বাচনের সময় প্রার্থী পায় না। আর আমাদের মিডিয়াগুলো বিদেশিদের কথায় হইচই করে। তাঁদের নিউজ কভার করা বন্ধ করুন। তাঁদের পাত্তা দেবেন না। আমাদের মিডিয়া যদি ওঁদের কভার করা বন্ধ করে, তখন ওঁরা ঘরে বসে খালি ‘হুক্কা’ খাবে। মিডিয়ার কারণে বিদেশিরা নিজেদের এদেশের রাজা মনে করে’।

এদিনের মত বিনিময় সভায় সিলেটে আরও সাতটি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের মোট ২৪টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক প্রয়োজন। আশা রাখছি, দ্রুত এগুলও পেয়ে যাব। কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে দেশে যে কত উন্নয়ন হচ্ছে, তা আমরা টের পাচ্ছি না। দেশে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু অনেকটাই কমে গিয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version