Cyclonic Circulation and Weather Update: সাগরের এই সিস্টেমেই বন্যা ? পশ্চিমী ঝঞ্ঝা-ঘূর্ণাবর্তের ফাঁড়া বাংলার বুকে! তুমুল দুর্যোগ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyclonic Circulation and Weather Update: আষ্টেপৃষ্ঠে সাইক্লোনিক সার্কুলেশনে জড়াচ্ছে বাংলা? নিম্নচাপ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, মিগজাউম, এক ধাক্কায় কতগুলো ফাঁড়া বাংলার বুকে? তুমুল দুর্যোগ কোথায় কোথায়? সাগরের এই সিস্টেমই ভেঙে দেবে শীত? বদলে বন্যায় ভাসবে কোন কোন রাজ্য? কেন ব্যাক টু ব্যাক ঘূর্ণাবর্ত নির্দিষ্ট এই জোনেই? বঙ্গোপসাগরে তোলপাড়। কারণটা জানা আপনার দরকার। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে আবহাওয়ার ভয়ঙ্কর খেলা? দুই ঝঞ্ঝায় কাবু শীত?এখানেই ঘটবে আবহাওয়ার ম্যাসিভ চেঞ্জ। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে বাংলায় দুটো পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে রবি আর বৃহস্পকিবার।

দুই ঝঞ্ঝার প্রভাবেই নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুতে বাংলার আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যেতে পারে। কি ঘটবে এখন থেকে কিছু প্রেডিক্ট করা যাচ্ছে না। আর বাংলায় নিম্নচাপের এফেক্ট কতটা ভয়ঙ্কর হতে যাচ্ছে? ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ও সংলগ্ন এলাকার ওই ‘সিস্টেম’-র প্রভাবে রবি এবং সোমবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৫৫ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে। মঙ্গল এবং বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরের উপর ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি বেগে পৌঁছে যেতে পারে দমকা হাওয়ার বেগ।

জানা যাচ্ছে, এরইমধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ও সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে একটা সিস্টেম। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপে পরিণত হবে। যা পরে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে! অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। ২৯ নভেম্বর বুধবার থেকে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। না, বাংলার জন্য খুব একটা বিপদের আশঙ্কা থাকছে না বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু, এটা ফ্যাক্ট পৃথিবীর ইতিহাসে যতসব ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হেনেছে, তার বেশিরভাগই হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। আর এখানেই সমস্যা।বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে রেখেছে যে তটরেখা, সেখানে বাস করে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। যাঁরা এই নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

আর দিনকে দিন পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে কি শীত কি গ্রীষ্ম কি বর্ষা? ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ ব্যাক টু ব্যাক তৈরি হচ্ছে। আবহবিদরা বলছেন, টেক্সট মেসেজ আরব সাগর বা বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, প্রতি দশ বছরে তার মাত্র একটি হয়তো প্রচণ্ড ক্ষমতা বা শক্তির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়! বঙ্গোপসাগরে আগের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেশি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। এর প্রধান কারণ সম্ভবত উষ্ণতা। তবে এবারে তৈরি হওয়া সিস্টেম সরাসরি বাংলার দিকে না এলেও তার একটা আংশিক প্রভাব এ রাজ্যে পড়তে পারে। আর, শীতের পথে সবথেকে বড় হয়ে দাঁড়াতে পারে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। কিন্তু পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকবে জানাচ্ছে মৌসম ভবন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version