রাশিয়া ব্ল্যাক লিস্টেড হওয়ার আশঙ্কা! ভারতকে পাশ চায় মস্কো, না বাঁচালে ডুববে নৌকা

।। প্রথম কলকাতা ।।

রাশিয়া কাতরভাবে সাহায্য চাইছে ভারতবর্ষের কাছে। এবার বিপদের খাড়া শুধু বাণিজ্য বা তেল বা প্রাকৃতিক গ্যাসে নয়। রাশিয়া সবধরণের আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে পারে আর কটা দিনের মধ্যে। মস্কোকে পঙ্গু হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবে ভারত? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মায়ানমারের সঙ্গে এবার নেওয়া হবে রাশিয়ার নামও?

খবরটা জেনেনিন রাশিয়ার নাম এবার এফএটিএফের কালো তালিকায় আসতে চলেছে। এখনও ব্ল্যাক লিস্টেড হয়নি। কিন্তু হতে পারে যে কোনও সময়। এনডিটিভির রিপোর্ট বলছে ভারতের কাছে এবার মস্কো সাহায্য চাইছে। কিন্তু ভারত কীভাবে সাহায্য করবে পুতিনের দেশকে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি করতে পারে তাহলে সেটা হবে ছক্কা হাঁকানোর সমান। কিন্তু গোটা বিষয়টা এতটাও সহজ নয়।

আপনারা যারা দেশ বিদেশের কূটনৈতিক খবর রাখেন তারা জানবেন ২ মাস আগে রাশিয়াকে এফএটিএফের সদস্য দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর এখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যেখানে বলা হচ্ছে রাশিয়াকেই ব্ল্যাক লিস্টেড করে দিতে পারে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমনটা হলে রাশিয়ার অর্থনীতি কার্যত ধসে পড়বে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে করা গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি আটকে যেতে পারে। আর তার মধ্যে রয়েছে ভারতের সঙ্গে করা একের পর এক অতি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি।

প্রশ্নটা হল রাশিয়া জঙ্গি অর্থায়ন করেছে নাকি অর্থপাচার করছে? কোন অপরাধে এফএটিএফ রাশিয়াকে এমন শাস্তির মুখে ফেলতে পারে উত্তর খুব সোজা। ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর বিরুদ্ধে মার্কিন রোষ। যদি একটু খেয়াল করে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স সদস্য দেশগুলোর বেশিরভাগই পশ্চিমা, ইউরোপিয়ান ও উত্তর আমেরিকার দেশ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, ইজরায়েল এরা বেশিরভাগ আমেরিকার মিত্র। এরা ভোট দিলে রাশিয়া বিপদ দৌড়ে দৌড়ে আসবে। এখানেই রাশিয়া চায় ভারতকে এই ধরণের প্রস্তাবের ভোকালি বিরোধিতা করুক নয়া দিল্লি। কারণ এফএটিএফের সদস্য দেশগুলোতে ভারতও রয়েছে।

তথ্য বলছে যদি একবার রাশিয়া ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যায় তাহলে মস্কোর সঙ্গে করা রোজনেফ্ট ও নায়ারা এনার্জি লিমিটেডের তেলের চুক্তি বিপদে পড়বে। এরইসঙ্গে ভারতকে প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র সরবরাহে বড় বাধা তৈরি হবে। অ্যারো ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ অ্যাভিয়েশন প্রজেক্টও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই ভারতকেও ভাবতে হবে ভবিষ্যত। ভারত প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করলে আমেরিকা তা কতটা কানে তুলবে তা নিয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যায়। যেহেতু আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই রাশিয়ান তেল কিনেছিল ভারত। সূত্রের খবর এ বিষয়ে এখনও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেয় নি ভারত। অবস্থা বুঝে যে নয়া দিল্লি ব্যবস্থা নেবে সেটা আন্দাজ করাই যায়৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version