কানাডাকে চরম ওয়ার্নিং দিল্লির! ব্লাড প্রেসার বাড়ছে ট্রুডোর, কী বলা হল ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

কানাডাকে তুলোধনা ভারতের। ট্রুডো মুখ লোকাবেন কোথায়? দিল্লি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ব্লাড প্রেসার বাড়ছে ওটাওয়ার। পান্নুনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্নিং! ভারত দিল উচিত শিক্ষা। ভিসা পরিষেবা চালু মানে দ্বন্দ্ব মিটে গেছে ভাববেন না। দিল্লিকে টেকেন ফর গ্রান্ডেড নেওয়া যাবে না। ঢিল ছুঁড়লে পাল্টা উচিত জবাবই দেবে ভারত। প্রমাণিত হয়ে গেল প্রকাশ্যে। নিজ্জরকাণ্ডে কানাডার বারবার দোষারোপ। খেলা পুরো ঘুরিয়ে দিল নয়া দিল্লি। আর এই কড়া জবাবের পর ওটাওয়া কি উত্তর দেবে সেটাই তো দেখার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কানাডার খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে নাকি হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর তা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র সে দেশে পান্নুনকে হত্যার ছক বানচাল করেছে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’(এফটি) পত্রিকায়। কিন্তু এ নিয়ে ভারতকে সতর্কতা কেন? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, হত্যা ষড়যন্ত্র ফাঁসের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। এই পাঁচ দেশই গোয়েন্দা তথ্যাদি আদান–প্রদান সম্পর্কিত ‘ফাইভ আইস’ জোটের সঙ্গী। তাদের সবার ধারণা, নিজ্জর হত্যা ও পান্নুন হত্যা চক্রান্তের মধ্যে ‘আচরণগত সাজুয্য’ রয়েছে। এই পান্নুনই যখন বিভিন্নভাবে ভারতকে হুমকি দেয় তখন যেন মুখে কুলুপ আটে। ফাইভ আইস এবার ভারত যেন একযোগে জবাব দিল কানাডা ও আমেরিকাকে। তদন্তের রিপোর্ট বের হওয়ার আগেই দোষারোপ কেন ভারতকে?’ খলিস্তানি নেতা খুনের ঘটনায় এবার কানাডাকে তুলোধোনা ভারতের। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাতকারে ভারতের হাই কমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা বলেন কোনও কারণ ছাড়াই ভারতকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে, এটা কি আদৌ আইনের শাসন? ভারতকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে তদন্তে যদি প্রথাগত ক্রিমিনাল টার্মিনোলজি দেখা যায় তাহলে বলতে হবে যে, কাউকে যদি সহযোগীতা করতে বলা হয় এক্ষেত্রে তখন ধরে নেওয়া হয় সেই অপরাধী। তদন্তে সহযোগিতা করলে অভিযুক্তের উপকারই হবে।

কানাডার আচরণকে কটাক্ষ করে ভারতের হাই কমিশনার আরও বলেন, এই প্রসঙ্গে দুটি বিষয় রয়েছে। প্রথমত, তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগেই ভারতকে দোষারোপ করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এটি আইনের শাসন নয়। আইনের উপর ভরসা রাখা হচ্ছে না। তিনি জানান, নিজ্জরের হত্যার প্রসঙ্গে যদি কোনও নির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় নিশ্চয়ই ভারত বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এদিকে কানাডার ভিসা পরিষেবা শুরু হতেই বড় বার্তা দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। জয়শংকর জানান আমরা এর আগে সাময়িক ভাবে ভিসা পরিষেবা স্থগিত রেখেছিলাম কানাডায়। কারণ সেখানে যা পরিস্থিতি ছিল তাতে আমাদের হাইকমিশন কর্মীদের অফিসে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। এই আবহে তারা অফিসে গিয়ে ভিসা প্রক্রিাকরণের কাজ করতেই পারছিলেন না। তবে সাম্প্রতিককালে সেখানে ভারতীয় হাইকমিশন কর্মীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কূটনৈতিক মহলের ধারণা তারমানে এই নয় যে কানাডা ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে। এই দ্বন্দ্ব যে অনেকদূর গড়াতে পারে এমনটাই মত তাদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version