Neem Phooler Madhu Serial: নিম ফুলের মধু নিয়ে চরম কটাক্ষ ! বাংলা সিরিয়ালের উপর চটল নেটিজেনরা

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Neem Phooler Madhu Serial: নিজের জীবন বাজি রেখে পর্ণা বাঁচালো বর্ষার জীবন। ‘নিম ফুলের মধু’তে এখন ঘটনার ঘনঘটা। পর্ণা যেন কোনও মানুষ নয়, বরং ওয়ান্ডার ওম্যান। কিন্তু দর্শক আদৌ খুশি তো? সোশ্যাল মিডিয়ায় যে উঠছে কটাক্ষের ঝড়। কিন্তু কেন? কী এমন দেখানো হল নিম ফুলের মধুতে? নেটিজেনরা তো চটে লাল।

 

ইতিমধ্যেই নিজের প্রাণ বাজি রেখে বর্ষাকে উদ্ধার করেছে সৃজন পর্ণারা। বর্ষাকে বাঁচাতে গিয়ে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে যেতেও ভয় পায়নি আলোকপর্ণা দত্ত। পর্নার মতে যদিও সে এখন আর দত্ত নয়। কারণ তার স্মৃতি নাকি দশ বছর পিছিয়ে গেছে। যদিও তাতে দত্তবাড়ির সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। আর এখন তো ননদকে বাঁচাতে সবকিছু করতে পারে সে। আর এবার এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলল দর্শকদের একাংশ।

 

এমনিতে জি বাংলার এই সিরিয়ালের ভক্তসংখ্যা কম নয়। অন্তত সাপ্তাহিক টিআরপি তো তাই বলছে। তবে দর্শকদের অপর অংশ কি তাই বলছে? সেদিকে তো চলছে বিস্তর কটাক্ষ আর খিল্লি। চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কিন্তু কেন?

 

কারণ, আর কিছুইনা, কারণ হচ্ছে গল্পের অবাস্তবতা। এই যে হঠাৎ হঠাৎ গল্পের মোড় দশ বছর পিছিয়ে যাচ্ছে বা এক সন্তানের মা মনে করছে সে একজন কলেজ পড়ুয়া। এটা কি আদৌ সম্ভব? বাস্তবে তো সম্ভব নয়ই। এবার এটাও সত্য যে, সিরিয়ালে যে সবটা বাস্তবের মত দেখানো সম্ভব নয়। কিন্তু তা বলে কি এতটাও অবাস্তব জিনিসপত্র মেনে নেওয়া যায়? এই প্রশ্নটাই তুলছে দর্শকদের একাংশ। আচ্ছা এই বিষয়ে দর্শক হিসেবে আপনার কী মতামত? আপনি ঠিক কী মনে করেন এটা নিয়ে? এটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন আমাদের।

 

এই দেখুন না মাস কয়েক আগেই দেখানো হয়েছিল দশ বছর বেড়ে গেছিল গল্পের বয়স। পর্ণার মেয়ে পুঁটিও তখন বেশ বড়। আর এরপরেই ঘটে যায় একেবারে উদ্ভট ঘটনা। হঠাৎ করেই দুর্ঘটনায় স্মৃতি হারিয়ে পর্ণা ফিরে গেল দশ বছর পিছনে। এখন নাকি সে একজন কলেজ পড়ুয়া। অথচ গল্পের শুরুতে তো কলেজ পাশ করে ইউনিভার্সিটির পড়া শেষ করে পর্ণার বিয়ে হয়েছিল সৃজনের সাথে। ব্যাপারটা হয় কীভাবে? হিসেবের এই গরমিলটাই মেলাতে পারছেনা দর্শকদের একাংশ। এটাও কি সম্ভব? নেটিজেনরা তো কটাক্ষ শানিয়ে বলছেন, দশ নয়, অন্তত পনের বছর পিছিয়ে গেলে তাও যদি বা একটু মানানসই হত, কিন্তু তাতেও কি আর সব হিসেব মিলত?

 

আবার দেখুন, চোর ডাকাত গুণ্ডা, সবাইকেই মাত দিয়ে দিচ্ছে দত্তবাড়ির লোকজন। পুলিশের তো দরকারই নেই। বারবার ছদ্মবেশের প্লট দেখে দেখে নেট জনতা এখন ক্লান্ত। কেউ কেউ তো কটাক্ষ শানিয়ে বলছে, এই সিরিয়ালের আরেক নাম দেওয়া উচিত যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা। নেটিজেনরা তো বলছেন, গল্প আর গল্পে নেই। এ তো আকাশে উঠে গেছে।

 

অথচ গল্পের শুরুটা কি এমন ছিল? উত্তর কলকাতার এক আটপৌরে একান্নবর্তী পরিবারের গল্প দিয়ে শুরু হয়েছিল নিম ফুলের মধুর কাহিনী। যেখানে ঠাম্মি বলেছিলেন, তেঁতো টুকু পার করলেই মিলবে মিঠের সন্ধান। পল্লবী-রুবেলের মিষ্টি জুটিও বেশ মন কেড়েছিল ভক্তদের। কিন্তু সেই সাধারণ গল্প আর রইল কই? দর্শকদের একাংশ তো বলছে পাঁচশো পর্ব পেরিয়ে গেলেও নিম ফুলে আর কোনও মধু নেই। বরং নিম ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে অবাস্তব গল্পে। আচ্ছা আপনারও কি তাই মনে হয়? আমরা জানতে ইচ্ছুক আপনাদের মতামত।

https://fb.watch/sXuVJoG0EA/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version