Bollywood: বিয়ের তারিখও ছিল পাকা, তা সত্বেও কেন ভাঙে মমতা-মিঠুনের সম্পর্ক?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Bollywood: পুরনো প্রেমিককে ভুলে মিঠুনের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম! বিয়ের তারিখও ছিল পাকা! তা সত্বেও কেন এক হলেন না মিঠুন-মমতা? ঠিক কী কারণে ভেঙে গেছিল ‘মৃগয়া’ জুটির বিয়ের সম্পর্ক? মমতা-মিঠুনের অতীত জুড়ে কোন তিক্ততা? আজ কয়েক দশক পর আসল কারণ খোলসা খোদ মমতা শঙ্কর। জানালেন বিয়ে ভেঙে যাওয়ার আসল কারণ।

 

মমতা শঙ্কর আর মিঠুন চক্রবর্তীর পরিণতি না পাওয়া প্রেমের সম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। মৃগয়া ছবির পর একে অপরের মধ্যে বুঁদ হয়েছিলেন তারা। দুই বাড়িতেও জানত তাদের প্রেমের কথা। শোনা যায়, বিয়ের তারিখও নাকি পাকা করে ফেলেছিল বাড়ির লোক। তবে হঠাৎ করেই ছন্দপতন। কাউকে কিছু না জানিয়েই সরে যান দু’জনে। কিন্তু কেন? আর এবার সেটা নিয়েই মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।

 

কিছুদিন আগেই একটি সংবাদমাধ্যমের সাথে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, বাপিদা অর্থাৎ তার বর্তমান স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা আগে থেকেই চলছিল। তবে মৃগয়ার সেটে মিঠুনকে দেখতেই কোথা থেকে কী হয়ে গেল যেন। মহাগুরুর মধ্যে ঠিক কী আকর্ষণ ছিল তা তিনি বলতে পারেন নি। তবে না চাইতেও বাঁধা পড়ে গেছিলেন মিঠুনের কাছে।

 

যত সময় এগিয়েছে তত গাঢ় হয়েছে দুই তারকার সম্পর্ক। মিঠুনের বাড়ির লোকের সাথেও ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছিল মমতার। বিয়ের তারিখটাও প্রায় পাকা। তবে বিয়েটা আর হয়নি। জানেন, ঠিক কোন কারণে ভেঙে গেছিল মিঠুন মমতার বিয়ে? বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে যাওয়া সত্বেও কেন মিঠুনকে ছেড়ে চন্দ্রদোয়ের কাছেই ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী? এর পিছনে রয়েছে অতীতের তিক্ততা? অবশেষে সবটাই খোলসা করলেন মমতা শঙ্কর।

 

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জানান, বিয়ের তারিখ ঠিক হলেও মিঠুনই নাকি বিয়েটা করতে চাননি‌। তখন সদ্য সদ্য কেরিয়ার শুরু করেছেন তিনি। এমন একটা সময়ে বিয়ের মত গুরুদায়িত্ব নিতে গিয়ে পিছিয়ে পড়েছিলেন মহাগুরু। চেয়েছিলেন আরও কিছুটা সময়। এই পরিস্থিতিতে বেশ দ্বন্দ্বে পড়ে যান মমতাও।

 

আর তখনই জীবনে ফিরে আসে পুরনো প্রেম ‘বাপিদা’। শোনা যায়, মমতা যখন উচিত-অনুচিতের মাঝে পিষছেন, ঠিক তখনই ফোন আসে বাপিদা ওরফে চন্দ্রদোয়ের কাছ থেকে। ফোন করেছিলেন তার বর্তমান শাশুড়ি। কথা শুরু হতেই ছেলেকে ফোন ধরিয়ে দেন তিনি‌। ব্যাস, এখানেই ঘুরে যায় গল্পের মোড়। মিঠুনকে ভুলে ফিরে আসেন চন্দ্রদোয়ের কাছেই। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, শুধু দেরিতে বিয়ে করতে চাওয়াই কি ছিল বিয়ে ভাঙার কারণ? নাকি আরও অন্য কোনও দ্বিধা কাজ করছিল মমতার মনে?

 

শোনা যায় মিঠুনের অগণিত মহিলা ভক্তের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন মমতা। ভয় পেয়েছিলেন সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে‌। অভিনেত্রীর কথায়ড় সেই সময়টা তার কাছে ট্রমার মত ছিল। যদিও পরে মিঠুন জানিয়েছিলেন, এসমস্ত কিছুই অভিনয় জগতের অঙ্গ। ওগুলো নিয়ে চিন্তা করার কিছুই ছিলনা। তবে অতীতে যাই হোক না কেন, মমতা মনে করেন যা হয়েছে ভালো হয়েছে। আজও মিঠুন আর তিনি খুব ভালো বন্ধু।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version