।। প্রথম কলকাতা ।।
Nagaland Assembly Election: বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পর থেকেই নাগাল্যান্ড (Nagaland) জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। যুদ্ধ বিরোধী সুপারভাইজারি বোর্ডের (Supervisory Board) তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাফ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যে, ন্যাশনাল সোসালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (NSCN) এর কোন গোষ্ঠী বা কোন সংগঠনের কেউ অস্ত্র আমদানি, বহন ও নাশকতা মূলক কাজ করতে পারবে না। নাগাল্যান্ডের বিধানসভা নির্বাচন যাতে একেবারেই শান্তিপূর্ণ হয় এবং ভালোভাবে মিটে যায় তার সবরকম ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
পৃথক সার্বভৌম রাষ্ট্র নাগালিম গঠনের দাবি তুলে এনএসসিএন দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও বিদেশি অর্থ সহায়তা পাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের শক্তি আগের তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে। কিন্তু তারপরেও নিরাপত্তার খাতিরে কোনরকম আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন না এনএসসিএন (NSCN) এর গোষ্ঠীগুলি। ১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ গতকাল থেকেই নাগাল্যান্ডের সব জেলা প্রশাসনের কাছে এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যতদিন না ভোট-পর্ব মিটে গিয়ে ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে ততদিন এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে এনএসসিএনকে।
সিজফায়ার মনিটরিং গ্রুপ (CFMG) এবং সিজফায়ার সুপারভাইজারি বোর্ডের (CFSB) স্টাফ অফিসার ফর চেয়ারম্যান টি মেরে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে মজুত করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে । প্রত্যেকটি জেলাতেই দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেদের এলাকা থেকে এই অস্ত্র উদ্ধারের কাজ করবেন। একই সঙ্গে এনএসসিএন কেউ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যে, নাগাল্যান্ডের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া চালানোর জন্য তাদেরকেও যুদ্ধ বিরোধী সুপারভাইজারি বোর্ডের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, পৃথক সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবিতে এনএসসিএন যে যুদ্ধ শুরু করেছিল তা থামানোর জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে তাদের একটি যুদ্ধ বিরোধী চুক্তি হয় ১৯৯৭ সালে। পরবর্তীতে এনএসসিএন এর আরও গোষ্ঠীগুলি ওই চুক্তিতে যুক্ত হয়। ২০২৩ সালে নাগাল্যান্ডের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে ২৭ ফেব্রুয়ারি । একইদিনে নির্বাচন রয়েছে মেঘালয় রাজ্যে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২ মার্চ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম