Mallikghat Flower Bazar: এশিয়ার সব থেকে বড় ফুলের বাজার, মল্লিক ঘাটের ইতিহাস জানেন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mallikghat Flower Bazar: হাওড়া ব্রিজ লাগোয়া একটি সিঁড়ি নেমে গিয়েছে সেতুর নীচে। গঙ্গার পশ্চিমপাড়ের সেই পথ ধরে এগোতে থাকলে আপনার চোখে নানা রঙের ধাঁধা লেগে যাবে। সাথে এক সুগন্ধ আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে এই জায়গায়। রবীন্দ্র সেতুর ঠিক নিচে বসে এই বাজার। যাকে বলা হয় এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে পুরনো ফুলের মার্কেট। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন মল্লিক ঘাট ফুলবাজারের কথাই বলছি।

প্রি ওয়েডিংয়ের জন্য যে জায়গাটি এখন কাপলদের পছন্দের ১ নম্বরে। টলিউড থেকে বলিউডের শ্যুটিং হয় এখানে অথচ সেই জায়গাটার ইতিহাস জানেন না ৯০ শতাংশ মানুষ। একটা সময় বাজার বসতো না এখানে! ছিল অন্য কিছু কেন এর নাম মল্লিকবাজার ঘাট? মনে প্রশ্ন আসেনি কখনও? আজ হাওড়ার এই ফুলের বাজারের ইতিহাস নিয়ে কিছু অজানা তথ্য শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।

পুরোনো এই শহর কলকাতা বয়ে নিয়ে চলেছে প্রায় ১৩০ বছরের পুরোনো আরেক ইতিহাস। ১৮৫৫ সাল ব্রিটিশ শাসন চলছে বাংলায়। কলকাতার বাবু নয়নচাঁদ মল্লিকের তখন খুব নাম ডাক। তারই ছেলে রামমোহন মল্লিক এই মল্লিক ঘাট তৈরি করে ছিলেন। এই ঘাটের আরেক নাম ছিল ছোটুলাল ঘাট। রবীন্দ্র সেতুর নিচের এই ফুল বাজারটি প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে গভীর রাত অবধি খোলা থাকে। রাত থাকতেই এখানে ফুল আসে ট্রেন ও ট্রাক বোঝাই হয়ে, আসেন খদ্দেররাও। দামি হোক বা সস্তা, সব ফুল মিলবে এ বাজারে।

চারদিকে শুধু ফুল আর ফুল প্রতিটি টাটকা এবং তাজা। হাজার হাজার পাইকার ব্যবসায়ী কেজি কেজি রঙিন ফুল নিয়ে হাজির হন। বিভিন্ন ধরনের মালা, ফুলের গয়না সব ধরণের ফুলের কাজ হয় এখানে। অথচ একটা সময় ছিল যখন বাজার ছিল না এখানে একটি আকর্ষণীয় চাঁদোয়া সহ বিশাল এক মণ্ডপ ছিল। সময়ের নিয়মে সেসব আর নেই।

পুজো মণ্ডপ থেকে বিয়েবাড়ি, অনুষ্ঠানের বাড়ি, হোটেল রিসর্ট সাজানোর জন্য কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ফুলের প্রয়োজনে এখান থেকেই ফুল কেনা হয়। মল্লিক ঘাটের ফুলের বাজার ঘুরে দেখার আদর্শ সময় হল শীতের সকাল। কুয়াশা মাথা গঙ্গার ধারে সূর্যোদয় দেখার সুযোগ পাবেন। সাথে শীতের বাহারি ফুল। জগন্নাথ ঘাটের পাশেই হাওড়া ব্রিজের কাছে এই শতাব্দী প্রাচীন ঘাট এশিয়ার সব থেকে বড় ফুলের বাজার এমনটাই বলা হয়ে থাকে। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা, বিয়ে হোক কিংবা পুজোযে কোনও মরশুমেই মল্লিক ঘাট ফুলের রঙে রঙিন। কলকাতার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে শত বছরের পুরনো এই ফুলের বাজার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version