Didi no.1: বন্ধ হচ্ছে দিদি নম্বর ওয়ান? উত্তর দিলেন খোদ রচনা ব্যানার্জি

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Didi no.1: বন্ধ হচ্ছে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’র ঝাঁপি? রচনা ভোটে জিততেই হুলস্থুল টেলিপাড়ায়। দুঁদে লকেটকে টেক্কা দিয়ে হুগলির খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন রচনা। তাহলে তার টেলিভিশন শোয়ের কী হবে? ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর ভবিষ্যৎ কি তবে সত্যিই অন্ধকার? রচনা কি আর সঞ্চালনা করবেন? নাকি আসছে নতুন কেউ? টলিপাড়ায় জল্পনা তুঙ্গে।তার মাঝেই বিরাট ঘোষণা করলেন রচনা নিজেই। কী বললেন অভিনেত্রী?

 

এতদিন তিনি ছিলেন টেলিভিশনের ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। আর এখন তো রচনা রাজনীতিতেও ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। এখন তার কাঁধে নতুন দায়িত্ব। তবে নতুন দায়িত্ব পেয়ে কি পুরনো দায়িত্বকে ভুলে যাবেন? ‘দিদি নাম্বার ১’ কে কি তবে বিদায় জানাবেন রচনা? নেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন, এবার নাকি শো-টাই বন্ধ করতে চলেছেন নির্মাতারা। সত্যিই কি তাই? ভক্তদের তো মাথায় হাত।

 

তাহলে বলি এতটাও চিন্তায় কোনও কারণ নেই। ভক্তদের আশ্বস্ত করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নতুন দায়িত্ব এসেছে ঠিকই। ব্যস্ততা তো বাড়বেই। তবে তার জন্য ‘দিদি নম্বর ওয়ান’র কোনোকিছুই আটকে থাকবেনা। দুটো দায়িত্বই সমান তালে সামলাবেন তিনি। এতে হয়ত একটু অসুবিধা হবে। তবে রাজনীতি আর বিনোদন জগত দু’দিক ‘ব্যালেন্স’ করবেন বলেই আশ্বাস দিয়েছেন রচনা।

 

তাহলে এটা স্পষ্ট যে, বন্ধ হচ্ছেনা জি টিভির এই জনপ্রিয় শো। আগের মতোই দেখতে পারবেন আপনাদের পছন্দের শো ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। অবশ্য জানেন কি, রচনা চাইলেও এই শো বন্ধ করতে পারবেন না। এই শো তার রক্তে মিশে গেছে। এই শো-র দৌলতে তিনি যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, অতটা বোধহয় নায়িকা হিসেবেও পাননি। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’র দৌলতেই বাঙালির ঘরের মানুষ হয়ে উঠেছেন তিনি। ভোটে জিততেও এটাই তাকে সাহায্য করেছে। তাই এই শো কি তিনি ছাড়তে পারেন? কী মনে হয় আপনার? রচনা ছাড়া ‘দিদি নম্বর ওয়ান’র কথা কি ভাবতে পারছেন?

ভক্তদেরও বিশ্বাস তিনি পারবেন। দুটোকেই সমানভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন রচনা। রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা হয়েও যেভাবে তিনি বাজিমাত করেছেন তাতে তার অসাধ্য কিছুই নেই। এটা বলাও ভুল হবেনা যে, তিনিই বাস্তবের দিদি নম্বর ওয়ান। যদিও রচনার কথায়, আসল দিদি নম্বর ওয়ান তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

শোনা যায় প্রথমে তো তিনি ভোটে দাঁড়াতেই চাননি। পরে নাকি বাংলার দিদির অনুরোধ আর তিনি ফেলতে পারেননি।

 

মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেই ঘাসফুলে যোগদান তার। তারপর থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত তিনি কতটা খেটেছেন সেটা তো নিজে চোখেই দেখেছেন। রোদে জলে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেছেন। প্রচারের কাজে উঠে পড়েছেন লোকাল ট্রেনেও। তার ‘চারিদিকে ধোঁয়া ধোঁয়া’ বক্তব্যকে নিয়ে কম মিম তো হয়নি। যদিও রচনা সেসবে কান দেওয়ার পাত্রী নন। উলটে তিনি তো মিম দেখে হেসে লুটোপুটি খেয়েছেন। তবে আফশোস এটুকুই যে, এত কাজের মধ্যে ছেলেকে সময় দেওয়া হয়নি। তাই এবার প্রথম কাজ হবে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া।

 

https://fb.watch/sBhkIod8LK/

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version