Bangladesh: আধুনিক পদ্ধতিতে গঙ্গার জলপ্রবাহ মাপবে ঢাকা! ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্কের ফল এই চুক্তি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: ভারত (India) এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি হল গঙ্গা জল চুক্তি। পাশাপাশি এটি দুই দেশের সুসম্পর্কের ফল। সেই ১৯৯৬ সালে হওয়া চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আর তিন বছর। এতদিন গঙ্গার জলের প্রবাহ মাত্রা মাপা হত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এবার বাংলাদেশ চাইছে জল প্রবাহ মাপবে আধুনিক পদ্ধতিতে। ৩ মার্চ শুক্রবার কলকাতায় (Kolkata) যৌথ নদী কমিশন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলনেতা ড. মোহাম্মদ আব্দুল হোসেন। ‘সময় টিভি’তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তিনি বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ঢাকা ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে গঙ্গার জলপ্রবাহ মাপতে চায়।

চুক্তি অনুযায়ী, গঙ্গার জল যে ব্যারেজ দিয়ে ভাগ হবে সেখানে ৭০ হাজার কিউসেকের কম থাকে তাহলে ভারত আর বাংলাদেশ ৫০ শতাংশ হারে জল নেবে। ১ই জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ গঙ্গার জলপ্রবাহ ঠিকঠাক ভাবে পাচ্ছে কিনা সেই অনুযায়ী যৌথ নদী কমিশন গঠন করে। এই কমিশনের কাজ, নদীর জল সঠিক ভাবে পাওয়া যাচ্ছে কিনা তা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী, দেশটি চলতি মৌসুমে যথাযথ পরিমাণে জল পেয়েছে। আর কয়েক বছর পরেই গঙ্গা জল চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা সুপারিশ কথা জানায়। গত দুই মাসেও বাংলাদেশ যথাযথ পরিমাণে জল পেয়েছে, তবে গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সম্প্রতি বাংলাদেশ বেশি জল পাবে বলে আশা করছেন। ভারত এবং বাংলাদেশ, দুই দেশের কৃষি ক্ষেত্রের কাজেএই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৬ সালের ১২ই ডিসেম্বর এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর জ্যোতি বসু। ডিসেম্বরে দিল্লিতে বাংলাদেশ এবং ভারত গঙ্গার বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে গঙ্গার জল ভাগ করে নেবে বলে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

সেই সময় সবেমাত্র দুই দেশের ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। এছাড়াও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে নানান সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটেছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই গঙ্গা জল নিয়ে ভারতের সঙ্গে নানান রকম মনোমালিন্য হতে থাকে, এমনকি ভারতের ফারাক্কা বাঁধ সেই মনোমালিন্যের তিক্ততা আরো বাড়িয়ে দেয়। সেই সমস্যার সমাধান করেছিল গঙ্গাজল চুক্তি। এই চুক্তিতে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (Former Chief Minister of West Bengal) জ্যোতি বসু(Jyoti Basu)। চুক্তি হওয়ার পর এত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেভাবে কোন সমস্যা দেখা দেয়নি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version