Shahida Parveen Ganguly: দাবাং লেডি সাহিদা পারভীন গাঙ্গুলী, যার ভয়ে গোটা আন্ডারওয়ার্ল্ড

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Shahida Parveen Ganguly: সাহিদা পারভীন গাঙ্গুলী। সাক্ষাৎ যেন মা দূর্গা রূপে ত্রিশূল হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন অসুরদের সামনে। এখনও পর্যন্ত তিনি যে কত এনকাউন্টার করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। মধ্যবয়সী এই মহিলার ভয়ে থরথর করে কাঁপে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন থেকে দুষ্কৃতীরা। শুনে চমকে উঠলেন? ভাবছেন কোনও মহিলাও নাকি এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট? হ্যাঁ, একদমই ঠিক।

 

এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট এই মহিলা কিন্তু কোনও যে সে মহিলা নন। তিনি জম্মু কাশ্মীরের প্রথম মহিলা কমিশনার অফ পুলিশ। এখন যদিও সেটা প্রাক্তন। তবে তার নাম শুনলে আজও ভয়ে কাঁপে দুস্কৃতীরা। বলা হয়, একটা সময় নাকি প্রায় প্রতিদিনই একটা করে এনকাউন্টার করেছেন সাহিদা পারভীন গাঙ্গুলী। জম্মু ও কাশ্মীর যখন চরম উত্তাল, ঠিক সেই সময় প্রায় পাঁচ বছর পোস্টিং ছিলেন সেখানে।

 

ভাবতে পারছেন তার সাহস? আজও অনেক মানুষ মনে করেন, জম্মু কাশ্মীরের এই স্থান কেবল পুরুষরাই সামলাতে পারেন। কোনও মহিলা পুলিশের পক্ষে জম্মু কাশ্মীর সামলানো সম্ভব নয়। আর এই সমস্ত ভাবনাকে মিথ্যা করে দিয়েছেন সাহিদা পারভীন গাঙ্গুলী হয়ে উঠেছেন বাস্তবের লেডি সিংহম।

 

ছোট থেকেই পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সাহিদা। তবে পরিবারের চাপে সাহিদা তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন একজন শিক্ষিকা হিসেবে। কিন্তু তার মন তো সেখানে ছিলইনা। বাড়ির লোককে লুকিয়েই পুলিশে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। পাশও করে যান। ব্যাস আর কী? সুযোগ যখন চলেই এসেছে তখন আর অবহেলা কেন? জম্মু কাশ্মীর পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর পদে জয়েন করেন সাহিদা।

 

সবসময় ইচ্ছে ছিল, ডেয়ারিং কিছু করবেন। যদিও সিনিয়ররা ঠিক ভরসা করতেন না। তাদের ধারণা ছিল, মহিলা অফিসারের পক্ষে এইসব কাজ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সিনিয়ররা ফিল্ডে যাওয়ার বদলে, কেবল ইনফরমেশন জোগাড় করার জন্যই সাহিদাকে ব্যবহার করতেন বেশি। অবশ্য তারা তো তখন জানতেন না, সাহিদা ঠিক কোন ধাতুতে গড়া। যে অঞ্চলে খবরের চ্যানেল বা প্রিন্ট মিডিয়া অবধি পৌঁছাতে পারতনা, সেখানেও কোনও ভয়ভীতি ছাড়াই দুস্কৃতীদের সামনে দাঁড়িয়ে পড়তেন তিনি।

 

তিনিই সাহিদা পারভীন গাঙ্গুলী।

সাধারণ এসআই পদে যুক্ত হয়েও সাহিদা হয়ে ওঠেন জম্মু কাশ্মীরের প্রথম মহিলা কমিশনার অফ পুলিশ। গোটা কেরিয়ারে তিনি এমন সব কাজ করেছেন, যা দিয়ে অনায়াসে ফিল্ম তৈরি হয়ে যেতে পারে। সাহিদার অপারেশনের একটা ছোট্ট কথাই তাহলে বলি আপনাদের। এই লেডি সিংহমের এক স্পেশাল মহিলা ইনফরমার ছিলেন। যাকে ফাঁদে ফেলে শেষ করে দিয়েছিল এক দুস্কৃতী গ্যাং। সেদিন সাহিদা তাকে রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেই ঘটনার মাত্র ৭ দিনের মাথায় পুরো গ্যাংটিকে তছনছ করে দেন সাহিদা।

 

তাহলেই বুঝুন তিনি ঠিক কতটা দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশ অফিসার ছিলেন। লোকে তো বলে, কাশ্মীরে যদি বাঘ আর গরু একসাথে পাওয়া যেত, তাহলে নিশ্চয়ই তাদের একসাথেই ডাল লেকের জল খাওয়াতেন সাহিদা।

 

তবে জানেন কি, এই রাশভারী সাহিদা পারভীন গাঙ্গুলী একজন খুব ভালো স্ত্রী এবং মা। তার স্বামী একজন আর্মি অফিসার। তাদের দুই সন্তান রয়েছে রয়েছে। বেশ দক্ষ হাতেই সামলান মায়ের দায়িত্ব। তিনি হাতে যেমন চুড়িও পরেন, তেমন আবার অস্ত্রও ধরেন। তিনি কর্ম বলতে বোঝেন তার বর্ম। ভারত মাতাকে রক্ষা করতে যে কোনও পর্যায়ে যেতে রাজি তিনি‌। নারীবাদ কথাটার আসল অর্থ কী, সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সাহিদা। আর আজ প্রথম কলকাতা প্রোডাকশনের তরফ থেকে ভারত মাতার এই বীর কন্যার জন্য রইল কুর্নিশ।

https://fb.watch/s-M2-ywaNa/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version