Round up 2022: বাইশে অভিশপ্ত করোনা, মারণ ভাইরাসের দাপটে কী হারালাম কী পেলাম ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Round up 2022: ২০২২ সালের শেষে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। চিনে সংক্রমণ বাড়তেই সতর্কতা জারি হয়েছে আমাদের দেশেও। ২০২২ সালের বেশিরভাগ সময়টা খানিক স্বস্তি দিলেও ২০২০ সালের শুরু থেকেই আমরা করোনার ভয়াবহতা লক্ষ্য (Notice) করেছি। এই ভয়াবহতা আমাদের সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করেছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে অনিশ্চিত অর্থনেতিক অবস্হার সম্মুখীন হয়েছে। কাজ হারিয়ে স্বজনদের হারিয়ে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন।

২০২২সাল অনুধাবন করিয়েছে করোনা (Corona) ভাইরাস আমাদের শারীরিকভাবে না যতটা প্রভাবিত করেছে তার চেয়েও বেশি প্রভাবিত করেছে মানসিকভাবে। দেশের এমন কোনো প্রান্ত নেই যেখানে করোনা ভাইরাস তার ছোবল দেয়নি।

করোনা ভাইরাস আমাদের এতদিনের অভ্যস্ত জীবনযাত্রাকে বড় ধরনের পরিবর্তনের (Changes) দিকে ঠেলে দিয়েছে। পরিবর্তন করতে হয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে, আমাদের সামাজিক জীবনযাত্রা, কর্মজীবন ও আমাদের পারিবারিক জীবনকেও। এই সকল পরিবর্তন আমাদের সম্মুখ করেছে নতুন নতুন (New) চ্যালেঞ্জের মুখে। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার মত একটি অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যবিধি আমাদের দীর্ঘদিন মেনে চলতে হয়েছে। বার বার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার মত আচরণগত পরিবর্তনের সাথে আমাদের অভ্যস্ত হতে হয়ে হয়েছে। এর ফলে আমাদের গতানুগতিক সামাজিক সংযোগ যেভাবে ব্যাহত হয়েছে তেমনি ব্যহত হয়েছে আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনও। এর সাথে সাথে করোনা আমাদের প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতাকে তরান্বিত করেছে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, প্রতিনিয়ত নিজের এবং আপন মানুষগুলোর আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আমাদের মধ্যে মারাত্মক উদ্বেগ, ভয় ও অসহায়ত্বের জন্ম দিয়েছে। এর সাথে সাথে ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক অনিশ্চয়তা।

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিনিয়ত নানা রকমের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এবং হচ্ছে। এই ২০২৩ এও আমরা অনেকে অফিস করছি অনলাইনে, মিটিং করছি অনলাইনে, ক্লাস করেছি অনলাইনে, ডাক্তার দেখিয়েছি অনলাইনে এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানও করেছি অনলাইনে। এর সাথে সাথে কেনাকাটা, সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা ইত্যাদি সবকিছুই করতে হয়েছে অনলাইনে। এগুলো কিন্তু আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য সহজ ছিল না। এর জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের নতুন কিছু শিখতে হয়েছে এবং নতুন কিছুর সাথে খাপ খাওয়াতে হয়েছে। এই নতুন শেখা এবং খাপ খাওয়ানো আমাদের সম্মুখীন করেছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের।

আমাদের পারিবারিক জীবনেও পরিবারের সদস্যদের সাথে এতটা নিরবচ্ছিন্ন সময় বোধহয় এর আগে আমরা কাটাইনি। এই অদৃশ্য ভাইরাস আমাদের বাধ্য করেছে পরিবারের সাথে নিরবচ্ছিন্নভাবে সময় কাটাতে।

বাড়ি থেকেও যে কাজ করিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো যায় সেই উপলব্ধির জন্ম দিয়েছে করোনা ভাইরাস। তাই ২০২২ এর শেষে এসেও আমরা দেখছি বহু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এই ফরম্যাটেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অফিস খরচ  অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে। আবার তাতে কর্মীদের কাছ থেকে প্রত্যাশার বেশি গুণমানের কাজ মিলছে বলেও সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন ওয়ার্ক ফর্ম হোম পদ্ধতিতেই কাজ চালিয়ে যাবে। করোনা পরিস্থিতি মানুষকে ঠেলে দিয়েছে প্রযুক্তি নির্ভরতায় এখন মানুষ অনলাইনে অনেক বেশি সড়গড়। অনেকেই গ্রামের হাসপাতালে বসেই নামি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন অনলাইন টেলিভিশন পরিষেবায়। পোশাক বিক্রি থেকে শুরু করে প্রাইভেট টিউশন অনেকেই চালাচ্ছেন অনলাইনেই (Online)। করোনা পরবর্তী এই পরিস্থিতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির কাছে অনলাইন পদ্ধতির একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version