Coronavirus: চীনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা, সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করার অনুরোধ WHO এর

।। প্রথম কলকাতা ।।

Coronavirus: করোনা মহামারী শুরু হওয়ার দু’বছর পর আবার নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে চীনে (China)। যার কারণে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনে জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহারের পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার। এখন চীনে দাপট চালাচ্ছে ওমিক্রনের (Omicron) বিএফ৭ (BF.7) সাব ভ্যারিয়েন্ট। মহামারীর শুরুতে বারংবার চীনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। দেশটি নাকি করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট যথাযথভাবে প্রকাশ্যে আনেনি। চীনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উক্তি উদ্বিগ্ন হু (WHO) প্রধান টেড্রস আধানাম ঘেব্রেইসাস। তিনি বেজিংকে (Beijing) এই পরিস্থিতির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার একটি সাপ্তাহিক সম্মেলনে হু (WHO) প্রধান জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) বিষয়টিকে নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি চীনের কাছে করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করেন। তাহলে গবেষণা গুলি অনুসরণ করা সহজ হবে। এছাড়াও টিকাকরণের প্রচেষ্টায় আরো বেশি করে মনোযোগ দেওয়া যাবে। এক বছর আগের তুলনায় বর্তমানে কোভিড ১৯ মহামারীর অবস্থা এখন অনেকটা ভালো রয়েছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় চীনের পাশাপশি জাপান, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ব্রাজিলে গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্বজুড়ে দ্রুত ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ঠেকাতে আবারো টিকা দেওয়ার গতি বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু প্রধানের বক্তব্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত বহু তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। চীনের মহামারী পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব সামান্য তথ্যই সামনে এসেছে। চীন বারংবার তাদের পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাস তৈরি হয়েছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছিল তা অস্বীকার করেছে। এছাড়াও এই সংক্রান্ত বিশদে কোনো তথ্য তারা প্রকাশ্যে আনেনি বলে অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমের একাংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই শীতে চীনে তিনটি কোভিড ঢেউ আছড়ে পড়বে। এছাড়াও বহু বিশেষজ্ঞের মতে, আগামী বছরে চীনের মোট জনগণের ষাট শতাংশ করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হবেন। খুব দ্রুত চীনের প্রায় ১ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লক্ষ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হতে চলেছেন।

ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ৭ এর সংক্রমণের ক্ষমতা অত্যন্ত দ্রুত। এর আর ফ্যাক্টর প্রায় ১০ থেকে ১৮ অর্থাৎ একজন সংক্রমিত ব্যক্তি একসঙ্গে ১০ থেকে ১৮ জন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। ভারতে ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাই আগে থাকতেই সতর্ক হন। আগের মতোই প্রতিদিন মাস্ক ব্যবহার করু, দূরত্ব বিধি বজায় রাখুন এবং ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version