ভারতীয় মুসলিমদের চিনা উইঘুরদের সঙ্গে তুলনা! আয়নায় মুখে দেখুক আমেরিকা, লাইন ক্রস হল

।। প্রথম কলকাতা ।।

দুভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে ভারত ওবামা বলছেন
চিনের উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘুদের তুলনা করলেন ওবামা। জানেন উইঘুরকে কীভাবে ট্রিট করে চিন? আমেরিকার নিজেদের আয়নায় দেখেছে তো? বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মুহ তোড় পাল্টা জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যুক্তরাষ্ট্র কি নিজেদের ইতিহাস ভুলে গেছে? চোখে আঙুল দিয়ে এবার সেটাই দেখাতে পারে ভারত। নমোকে ফলসে ফেলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল। নিজেদের জেলখানার বন্দি মনে করেন চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরেরা। ভারতের সংখ্যালঘুদের সংখ্যা তুলনা টেনে এত বড় অপমান এবার কোন স্টেপ নিতে পারে ভারত? মোদী যা জবাব দিলেন প্রত্যেক ভারতীয়র তা জানা উচিত। এক গামলা দুধে এক ফোঁটা লেবুর রস৷ মোদীকে নিয়ে এত মাতামাতির মাঝে তেমনটাই করা হল৷ খবরটা আগে জানুন৷ তারপর আমেরিকা রের্কর্ড তুলে ধরব৷

যুক্তরাষ্ট্রের রুলিং পার্টি ডেমোক্রেটদের একাংশের দাবি ছিল ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার অক্ষুন্ন রাখা নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা বলুক বাইডেন। নমোর সঙ্গে মানবাধিকার প্রশ্নে আলোচনা হওয়া উচিত তবেই হোয়াইট হাউজ আগেই জানিয়ে দেয় এনিয়ে কোন কথা বলবে না তারা। সত্যি কেমন রয়েছে ভারতের মুসলিমেরা? কি বলছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা রিপোর্ট অবাক করবে আপনাকে। সিএনএনকে সাক্ষাতকার দেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর বিস্ফোরক দাবি “যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য জাতিদের মানবাধিকার রক্ষা না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে”। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিজের দেশের অবস্থাটা দেখছেন তো? তিনিই তো চেয়েছিলেন বাইডেন প্রেসিডেন্টের পদে বসুন৷ তারপর সেখানকার সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের অবস্থা কি?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রকাশ্যে বুঝিয়ে দিলেন আমেরিকা লাইন ক্রস করল কড়া ভাষায় নমোর ঘোষণা করে দিলেন “গণতন্ত্র ভারতের ডিএনএতে রয়েছে জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনও প্রশ্নই নেই ভারতে” মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারেরই তথ্য বলছে আমেরিকার মুসলিমদের বর্তমানে বেহাল দশা। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে ৯৮ শতাংশ ভারতীয় মুসলিমের দাবি তাদের ধর্মাচরণে কোনও বাধা নেই। ৯৫ শতাংশ মুসলিম বলছে ভারতীয় হওয়ার তাদের গর্ব হয়। এপিজে আবদুল কালাম থেকে হামিদ যাদের নিয়ে গর্ব করেন ভারতীয়রা সেই লিস্ট অনেক বড়। এবার আয়নায় দেখা যাক যুক্তরাষ্ট্রকে ৭৫ শতাংশ আমেরিকার মুসলিম বলছেন বড়সড় ভেদাভেদ রয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার আসায় ৬৮ শতাংশ মানুষ বলেছিল তারা ভিত। ৬২ শতাংশ বলছেন মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্র মেনস্ট্রিম সমাজের ভাগ মনে করে না। ৫০ শতাংশ মানুষ বলছে এখন আমেরিকায় মুসলিম হয়ে থাকা অনেক বেশি কঠিন আগের থেকে। শুধু তাই নয় আমেরিকার রেসিজমের উদাহরণ বিশ্বের জানতে বাকি নেই। চিনের উইঘুর মুসলিমদের দাবি, শিনজিয়াং প্রদেশে তাদের প্রত্যেকটা আশ্রয় শিবির যেন কারাগার। এক কোটি কুড়ি লক্ষ উইঘুর মুসলমান বাস করে। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহিলাদের শারীরিক হেনস্থা পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক হতভাগ্য উইঘুর মুসলিমরা। প্রশ্ন উঠছে তারপরও কি ওবামার এই তুলনা টানা আদৌ যুক্তিসম্মত? কূটনৈতিক মহলের দাবি, এবার ভারতের এ ইস্যুতে বড় স্টেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে ভারতের৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version