কোকো আইল্যান্ডে ফের নিমার্ণ! ভারতে নিরাপত্তায় রেড অ্যালার্ম, মায়ানমার চাইছেটা কী?

।। প্রথম কলকাতা ।।

মায়ানমারই কি চাইছে ভারত-চিনের যুদ্ধটা শুরু হয়ে যাক। ভারত মহাসাগরের গেটওয়ে কোকো আইল্যান্ডে নয়া অপারেশন শুরু করে দিয়েছে মায়ানমার। চিনের এতটা সুবিধা হয়ে যাবে ভারতের অতীতের ভুলে, জানেন কি? ভারতের নিরাপত্তা কত বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে জান্তা সরকারের দেশটার জন্য। এশিয়ার নতুন যুদ্ধক্ষেত্রে কি জানেন? জলসীমা৷

ভারত কি এবার বন্ধুত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করবে? নাকি উঠে পড়ে লাগবে মায়ানমারের দুঃসাহস দেখে? মায়ানমারের ছোট্ট একটা দ্বীপ কোকো আইল্যান্ড। সেখানে এবার শুধুমাত্র চিনা ঘাঁটি নয় জান্তা সরকার তৈরি করে ফেলছে অনেক বড় কিছু। ভারতের নিরাপত্তায় রেল অ্যালার্ম বাজছে কারণ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে কোকো আইল্যান্ডের ব্যবধান মাত্র ৪২ থেকে ৫৫ কিলোমিটার। আর এখানেই তো সবথেকে বড় বিপদ।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা চ্যাটাম হাউজের রিপোর্ট বলছে, মায়ানমার জান্তা সরকার কোকো দ্বীপের সামরিকায়ন ঘটাচ্ছে। সেখানে বানানো হচ্ছে রাস্তা, বিমানের হাঙ্গার, ট্রেঞ্চ এমনকি একটি রাডার স্টেশনও। আর নির্মাণকাজে মিয়ানমারকে কারা সহায়তা করছে জানেন? চিনের শ্রমিকরা কাজ করছে এখানে। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে গ্লোবাল ফরেন পলিসির শিক্ষক মেরি কালাহানের মতে, কোকো আইল্যান্ড নিয়ে বারবার যে খবর উঠে আসে সেখানে যে ধরনের কার্যকলাপ এখন চোখে পড়ছে সেগুলো কি আড়াল থেকে আসলে চিনই করাচ্ছে? নাকি মায়ানমারই আসল ভিলেন?

১৯৯৪ সালে এই কোকো আইল্যান্ডই নাকি চিনকে লিজে দেয় মায়ানমার। দুটো দেশ তা অস্বীকার করলেও স্যাটালাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে এই আইল্যান্ডে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে চিন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, এখানে মায়ানমারেরও লাভ রয়েছে। মায়ানমারের সামরিক বাহিনী হয়ত বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের বিনিময়ে ভারত ও চীনকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াতে চাইছে কারণ কোকো আইল্যান্ডে বিস্তার বাড়ানো বঙ্গোপসাগরে সামরিক নজরদারি বাড়ানোর ক্ষেত্রে মায়ানমারকে সাহায্য করবে। মনে করা হয় কোকো আইল্যান্ড একসময় ভারতেরই অংশ ছিল।

১৯৪৮ সালে বার্মাকে তা উপহার দেন ততৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। এমন দাবি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন ভারতের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেস। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে ভারতের কাছে এর কোনও প্রমাণ নেই৷ বা এমন কোনও নথি নেই তা এই দাবি সত্য বলে বিবেচনা করবে। তাহলে এখন ভারত কি ভাবছে? নেওয়া হবে কোনও কড়া স্টেপ? ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে সব কার্যকলাপ প্রভাব ফেলতে পারে সেগুলোর ওপরে ভারত প্রতিনিয়ত নজর রেখে চলে। বাকীটা যে সিক্রেট এটা বুঝে নিন৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version