চীনা জাহাজকে রেড সিগন্যাল! ‌‌‍‌শ্রীলঙ্কার চালে ক্লিন বোল্ড বেজিং, ভারতই শেষ কথা

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনা জাহাজ কী নিয়ে ঢুকছিল বন্দরে? ডিরেক্ট রেড সিগন্যাল দেখিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা, ভারতের জন্য ব্যাপক চাপে পড়ে গেল বেইজিং। শি কে অন্ধকারে রেখে গোটা বিশ্ব কী এক হচ্ছে? তলে তলে অন্য অঙ্ক। চীন কী গোটা বিশ্ব থেকে ছিটকে যাচ্ছে? গোটা বিশ্বে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতের কথা, ভারতের টেনশন-উদ্বেগ এসবের গুরুত্ব ইম্পর্ট্যান্সি আলাদাই লেভেলের। সুযোগ পেয়ে সেটাই বুঝিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। চীনা জাহাজকে শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর ফেলার অনুমতি দিল না কলোম্ব। অক্টোবর মাসে শ্রীলঙ্কার বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করার জন্য কূটনৈতিক মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছিল চীন। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। ‘শি ইয়ান ৬’ নামের ওই জাহাজ ভারত মহাসাগরে গবেষণা সংক্রান্ত কাজ চালাতো বলে কলম্বোকে জানিয়েছিল বেজিং।

গবেষণা সংক্রান্ত কাজ নাকি ভারতের উপর নজরদারি? চীন ভারতের উপর স্পায়িং করতে চাইছে? জানিয়ে রাখি,
এক্ষেত্রে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টাই শ্রীলংকার কাছে বেশি প্রায়োরিটি পেয়েছে গুরুত্ব পেয়েছে। বুঝতে হবে, ভারতীয় নিরাপত্তা শ্রীলঙ্কার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ রাখঢাক না করে এটা খুব ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি। রীতিমতো নিয়ম মেনে ভারত-সহ বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চীনের বিরুদ্ধে এই ডিসিশন নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এই প্রথম নয়।‌ চীনা জাহাজ শ্রীলঙ্কায় যাতে না ঢোকে, সেটার জন্য ভারত দীর্ঘ দিন ধরে তাদের আপত্তি জানিয়ে এসেছে। আর এবার শ্রীলঙ্কা তাদের নির্দিষ্ট নীতি মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মনে করিয়ে দিই, গত বছর ১৬ই আগস্ট চীনের স্যাটেলাইট ও মিসাইল নজরদারি জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল। ভারতের আশঙ্কা ছিল, চীন ওই জাহাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সেনসিটিভ ইনফরমেশন উপগ্রহের অবস্থান জেনে যেতে পারে। সেই সময় এই নিয়ে ভারতের তরফে ওয়ার্ন করা হয়। যদিও চীন আশ্বস্ত করে জানিয়েছিল তেমন কোন উদ্দেশ্য তাদের নেই কিন্তু চীনের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয় তাছাড়া, চীন-শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক ওই সময় বেশ জোড়ালো হয়েছিল। পূর্বতন দুই শাসক মাহিন্দা এবং গোতাবায়া রাজাপক্ষের আমলে চিন-শ্রীলঙ্কা বোঝাপড়া ‘উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি’ পেয়েছিল বলে মনে করেন অনেকেই। আর প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের শাসনে? সমীকরণ বদলাচ্ছে?শ্রীলঙ্কা সেই অবস্থান বদলাচ্ছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জোর জল্পনা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। পরিস্থিতি বদলেছে। ভারত কি ম্যাজিক জানে?

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারও প্রায় শূন্য। চীনের ঋণের জালেই দ্বীপরাষ্ট্রটি অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন সে দেশের মানুষই। তাই শ্রীলঙ্কায় চীনের প্রভাব নিয়ে বহু বার ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষকে। এখানেই চীনের চাল ফেল করে গেছে? ভারত সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে। শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক ভাবে দুঃস্থ হয়ে যাওয়ার পর সে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ফলে শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের সম্পর্ক এখন অনেকটাই পোক্ত বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। সম্পর্কের সাময়িক শীতলতা কাটিয়ে উষ্ণ হয়েছে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক। যে সম্পর্ক গোটা শ্রীলঙ্কার উপর চীনের প্রভাব কমাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version