।। প্রথম কলকাতা ।।
China Pakistan: ভারতের দুই শত্রু দেশের অ্যাক্টিভিটি নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড। কি করতে চলেছে চীন পাকিস্তান? চারিদিকে বলাবলি হচ্ছে, লেখালেখি শুরু হয়ে গেছে আরো শক্ত হচ্ছে চীন পাকিস্তান জোট। অন্ধকার কাটছে পাকিস্তানে? এটা কি তৈরি করছে চীন? কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হলো এই দুই দেশ? টার্গেট ২০৩০, পাকিস্তানে বলে বলে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে ড্রাগনের দেশ। পাকিস্তানকে আশার আলো দেখাচ্ছে চীনের নিউক্লিয়ার প্রজেক্ট। এবার দেশটার বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে মুখ খোলা সহজ হবে না। চীন পাকিস্তানের মধ্যে একটা নতুন চুক্তি হয়েছে। বড় উদ্যোগ।
২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ চাহিদার এক-পঞ্চমাংশ পারমাণবিক শক্তি থেকে পূরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এবার, সেই টার্গেট ফুলফিল করতে আরো একধাপ এগিয়ে গেল চীন। পাকিস্তানে নিউক্লিয়ার প্রজেক্ট বানাচ্ছে চীন। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার প্ল্যানিং হয়ে গেছে। চীনের ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার কো-অপারেশন ও পাকিস্তানের অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের মধ্যে ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলারের সমঝোতা চুক্তি হয়ে গেছে। পাঞ্জাব প্রদেশে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে, সব ঠিক হয়ে গেছে। খুব দ্রুতই এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে, যেখানে বিনিয়োগ করবে চীন। চুক্তি অনুযায়ী, চীনা কোম্পানি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণের জন্য হুয়ালং ওয়ান নামে পরিচিত HPR 1000 নিয়োগ করবে।
হুয়ালং ওয়ান কী?
২০৬০ সালের আগে চীনের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অংশ হিসেবে তৃতীয় প্রজন্মের হুয়ালাং ওয়ান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, এটাতে এইচপিআর 100 বা প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টর প্রযুক্তি যুক্ত থাকবে। এই বিনিয়োগের জন্য চীনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নতুন এই সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। জানিয়ে রাখি, এই প্রথম নয় পাকিস্তানে অলরেডি ছয়টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। দেশটার সর্বশেষ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদন হয়ে গেছে দু বছর আগে। দুই বছর আগে চালু হওয়া ষষ্ঠ পারমাণবিক প্রকল্পের মাধ্যমে এরইমধ্যে শক্তি উৎপাদন ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দেশটায়। এর আগে চীনের আর্থিক সহায়তায় করাচি প্ল্যান্টে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করে পাকিস্তান। আসলে, পাকিস্তান ২০৩০ সালের মধ্যে তার পারমাণবিক বিদ্যুৎ সামর্থ্য ৮,৮০০ মেগয়াওয়াট বা চাহিদার ২০% শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। প্ল্যানিং অনুযায়ী সেই দিকেই এগোচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু, প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে থাকা পাকিস্তানে তৈরি চীনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চাহিদা কতটা মেটাতে পারবে সেটাই দেখার অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম