India- Chian: অরুনাচল সীমান্তে চিনের সিয়াওকাং রেডি! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিরাপত্তায়, পাল্টা মাস্টারস্ট্রোক দিল ভারত

।। প্রথম কলকাতা ।।

India- Chian: চিনের দুঃসাহস দেখুন LAC-র ধারে শুধু গ্রাম নয় তৈরি হচ্ছে বড় কিছু। বেজিংয়ের ‘সিয়াওকাং’কে ধ্বংস করতে মাস্টারপ্ল্যান বানাল ভারত। LAC-র মধ্যাংশেই রাতারাতি কাজ করে ফেলছে লালফৌজ। ভারতের অ্যাকশন কতটা কড়া এবার হারেহারে টের পাবে চিন। চিনের গ্রাম তৈরি করার খবর বিশ্ব জেনে গেছে কিন্তু এবার গা জোয়ারি? অরুণাচলপ্রদেশের উল্টো দিকে লাইন দিয়ে তৈরি একের পর এক সিয়াওকাং। কতটা খতরনাক এই সিয়াওকাং। যা দিয়ে ভারত প্রতিটা সেকেন্ডে চাপে রাখার চেষ্টা চলছে?

ভারত বলছে রক্তচাপ এবার পাল্টা বাড়বে ড্রাগনের দেশের কারণ তাদের অস্ত্রেই ঘায়েল করা হবে পাল্টা তাদেরকেই। এক একটা গ্রামে ২০০ করে লোক আনা হচ্ছে রাতারাতি তৈরি হয়ে যাচ্ছে বহুতল। আর সেটা শুধু সাধারণ বহুতল নয়। অ্যাকশন অন্য পথে নেওয়ার ধান্দা। ভারত এবং চিন দুই দেশের মধ্যে ৩৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলএসি রয়েছে। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল তিনটি ভাগে বিভক্ত— পশ্চিমাংশ, মধ্যাংশ এবং পূর্বাংশ।
মধ্যাংশের দেরাদুন এলাকায় এলএসি-র ওপারে এবং পূর্বাংশে অরুণাচলপ্রদেশের উল্টো দিকে সিয়াওকাং বা মডেল গ্রাম অত্যন্ত দ্রুততায় বানানো হচ্ছে বলে খবর। হ্যাঁ, সিয়াওকাং মানে হল মডেল গ্রাম, আসলে কি সেটা সেনা ছাউনি? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গ্রামে সেনাদের একটি চেকপোস্টও তৈরি করা হয়েছে। শুধু চেক পোস্ট নয়, চিন এসব জায়গায় ওয়াচটাওয়ারও তৈরি করছে বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু ভারত হয়ত আগেই বুঝেছিল বেজিংয়ের নেক্সট স্টেপ এমনই হতে পারে। তার পালটা হিসেবে সামরিক ও অসামরিক উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য অরুণাচল প্রদেশের একাধিক গ্রামে একাধিক অঞ্চলে কাজ করছে ভারত।

ঠিক কী জানা যাচ্ছে?

চিন সীমান্তের আশেপাশে অরুণাচলের গ্রামগুলোতে তৈরি হচ্ছে হোমস্টে, ট্রেকিংয়ের ক্যাম্প, ক্যাম্পিংয়ের জায়গা, অ্যাডভেঞ্চার্স স্পোর্টস এর ফলে ঠিক কি হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব গ্রামগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়াতে চাইছে ভারত। সেইসঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টাও মাথায় রাখা হবে অবশ্যই। অরুনাচলের গ্রামগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়লে সোজা পথে কোনও স্টেপ হুট করে নিতে পারবে না বেজিং। স্যাটেলাইট ছবি দেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন কংক্রিটের ব্লক ট্রাকে করে এনে পরপর সাজিয়ে মডেল গ্রামের বাড়িগুলি তৈরি করা হচ্ছে তাদের অধিকাংশ বাড়িই বহুতল বাড়ি। অনেকেই বলছেন আসলে ওগুলো বাড়ি বা বহুতলের নামে ওয়াচটাওয়ার। যাতে সীমান্তের এপারে পুরোপুরি নজর রাখা যায়। এক একটি গ্রামে প্রায় ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে
এখন তারা নাগরিক না নাগরিকের নামে চিনের গোয়েন্দা বা সেনা সেটা কেউ জানে না। গ্রাম তৈরির পাশাপাশি সামরিক ছাউনিও তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে, যেখানে-যেখানে এই ধরনের গ্রাম তৈরির বিষয়ে জানা গিয়েছে সেখানে-সেখানেই দ্রুত বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্সটা কি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেটা যে ফাঁস করা হবে না তা বোঝাই যাচ্ছে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version