China India: চীনের বাণিজ্য ব্ল্যাকহোলে ঢুকল! ছ-মাসে কেন রফতানির বড় ফারাক? জিনপিং হিমশিম খাচ্ছেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের গর্ব করার সময় শেষ দিল্লি ধাক্কায় টলমল বেজিং! চীনের এই সত্যিটা তো কেউ জানত না। পরিস্থিতি সামলাতে দাহা ফেল জিনপিং। আমদানি-রফতানিতে ব্যাপক হারে ধস নামছে চীনের। কর্মের ফল এবার হাতেনাতে পাচ্ছে ড্রাগনল্যান্ড? এতদিনে যা হয়নি এবার সেটাই হচ্ছে৷ হঠাৎ ভারতই টিট ফর ট্যাটের সিদ্ধান্ত নিল নাকি? ‘ব্যালেন্স শিট রিসেশন’ এ ফাইনালি ঢুকে গেল চীন আটকানো গেল না। ‘ব্যালেন্স শিট রিসেশন’ অর্থনৈতির মন্দার কোন লেভেল?

২০২০ থেকে LAC সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে পিএলএ আর্মি আগ্রাসনে, কিন্তু ভালো করে জেনে রাখুন এক ছিঁটেফোটা প্রভাবও ভারত-চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কে পড়েনি কোনওদিনও। তবে এবার যেন শনির দৃষ্টি দিল্লি বেজিং বাণিজ্যে খবরটা আপাত ভাবে শুনতে ভালো লাগলেও জানেন দুদেশের বাণিজ্য কমলে কার ক্ষতি কার লাভ? চীনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং এখনও নিখোঁজ তার মধ্যে কী ঘটে গেল। ভারতই চাইছে না চীনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন অ্যাকটিভ রাখতে আগের মতো ্কতটা সত্যি এই বয়ান? রিপোর্ট বলছে, ভারত-চীন বাণিজ্যিক লেনদেন ছ’মাসে ০.৯ শতাংশ কমেছে। ২০২৩ প্রথম ছ’মাসে চিন থেকে ভারতে রফতানি করা হয়েছে মোট ৫৬৫৩ কোটি ডলারের পণ্য। কিন্তু ২০২২ এই সময়ের মধ্যে চিন থেকে ভারতে ৫৭৫১ কোটি ডলার অর্থমূল্যের পণ্য রফতানি করা হয়েছিল।

কিন্তু কেন হল এমন হেরফের? কেন কমল রফতানি? একই পরিসংখ্যান বলছে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ষ ভারত থেকে চিনে রফতানি করা হয়েছে মোট ৯৪৯ কোটি ডলারের পণ্য। এটিও গত বছরের চেয়ে কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই তথ্য বা পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিচ্ছে বেজিংয়ের অভ্যন্তরে এমন কিছু ঘটে গিয়েছে যা রীতিমত বড় কিছু আর এতে ভারতের কোনও হাত নেই কোনও চাল নেই। রিপোর্ট বলছে শুধু ভারত নয় সার্বিক ভাবেই চিনের বাণিজ্য হোঁচট খাচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই আমদানি এবং রফতানিতে এ বছর তুলনামূলক পিছিয়ে পড়েছে বেজিং। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক পার্টনারশিপে চীনের জায়গা কখন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নেবে কে বলতে পারে।

তথ্য বলছে চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনের মোট বাণিজ্য ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রফতানি কমেছে ৩.২ শতাংশ এবং আমদানি কমেছে ৬.৭ শতাংশ। চীনের থিঙ্ক ট্যাঙ্কেরা মেনে নিচ্ছেন। কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি চীন। তারই প্রভাব পড়ছে দেশটির বাণিজ্যিক পরিকাঠামোয় ব্যাপকভাবে। বিদেশি ক্রেতাদের জন্য সুদের হার বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক যে কারণে বিদেশের বাজারে তাদের পণ্যের চাহিদা কিছুটা কমেছে। প্রশ্ন হল এটাই কি ভারতের কাছে বড় সুযোগ? চীনের এমন অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভারত প্রভাব বাড়াবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন কিছু দেশে যারা চীনের কথায় ওঠে আর বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই অ্যাকশন শুরু হয়ে গিয়েছে। শত্রুর দুর্বল মূহুর্তটা জেনে কাজে লাগানোটা যে খুব দরকার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version