চীনের মোক্ষম টোপে গদগদ অস্ট্রেলিয়া, ভারত দেখতে পাচ্ছে বিপর্যয়! ভাঙতে পারে কোয়াড ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বড় গেম কোয়াড ভেঙে যাবে তাহলে! ভারতের ওপর বড়সড় দায়িত্ব এসে পড়ল। আমেরিকাকে কি আর ভরসা করতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া? চীন আবারও তুলতে পারে ফায়দা। চীন ফায়দা তুলতে চাইলেই যে ভারত তুলতে দেবে এমনটা ভাবলে বড় ভুল হবে। যে চীন একটা সময় বিশাল পরিমাণে ক্ষতি করেছিল অস্ট্রেলিয়ার আর সেই চীনকে নিয়েই এখন কার্যত মাতামাতি অ্যালবানিজের। এর কতটা প্রভাব পড়তে পারে কোয়াডের ওপর? ৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বেজিং সফরে গেছেন। সেখানে সরাসরি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি, কিন্তু চীনা সফরে যাওয়ার আগেই এক্স হ্যান্ডেলে চীনকে নিয়ে একগুচ্ছ আপলোড করেছে অ্যালবানিজ। অস্ট্রেলিয়াকে হঠাৎ করে এমন কি টোপ দিল বেজিং? যে এতবছরে মান-অপমান ভুলে গিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ক্যানবেরা?

অস্ট্রেলিয়া হাতের মুঠোয় করতে পারলে চীনের কত লাভ নাকি অস্ট্রেলিয়া স্বার্থপর হয়ে সুরসুর করে বেজিংয়ের পায়ে পড়ে গেল? তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি এতে যে কোয়াড দুর্বল হয়ে পড়ছে সেটা এর জলন্ত উদাহরণ। ২০২০ সালে চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। সে সময় চীন ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলার মূল্যমানের অস্ট্রেলীয় পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। যার মধ্যে ছিল অস্ট্রেলীয় ওয়াইনের ওপর ১১৬.২ শতাংশ থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বে ২১৮. ৪ শতাংশ শুল্ক। তারপর থেকে চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিগড়াতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে আমেরিকার ও কোয়াডের কাছাকাছি আসে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ৩ বছরের মাথায় বড় পাল্টি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং বেশ কিছু অস্ট্রেলীয় পণ্যের ওপর আমদানি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে যার মধ্যে আছে কয়লা, কাঠ ও বার্লি।

ওয়াকিবহাল মহল বলছে যারা ভারতের নামে নিন্দা করে যে ভারত পশ্চিমাদের থেকে অস্ত্র কেনে তাদের অস্ট্রেলিয়াকে নিয়েও কথা বলা উচিত।যেখানে প্রায় রোজদিনই তাইওয়ান ফিলিপিন্সকে হুমকি দিচ্ছে চীন সেখানে অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী সোজা চীনে চলে গেলেন। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন অ্যালবানিজের আলোচনা সূচির শীর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনার বিষয়টি থাকতে পারে। অন্যদিকে হতে পারে আমেরিকার বর্তমান অবস্থান উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। কারণ জো বাইডেন বলেছিলেন তারা ইজরায়েল ও ইউক্রেন দুটো যুদ্ধ একসঙ্গে চালাতেই সক্ষম। দুটো যুদ্ধকে ফান্ড করার পর সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমেরিকার যে সব ডিফেন্স ডিল হয়েছে সেগুলোতে ডিলে হবে না তো এটা ভাবাচ্ছে অ্যালবানিজ। বিশ্লেষকেরা বলছেন এতে ভারতের ওপর দায়িত্ব বাড়ল কোয়াডকে রক্ষা করার জাপান, আমেরিকা, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এই চারটে দেশ নিয়ে তৈরি কোয়াড।

২০০৮ সালে এই কোয়াডে ঢোকার সময়ই অস্ট্রেলিয়াকে হুমকি দিয়েছিল চীন। ক্যানবেরাও তাতে সাড়া দিয়ে পিছিয়ে এসেছিল। কোয়াড কি তাহলে ভেঙে গেল এবার? কূটনৈতিক মহলের দাবি হয়ত অস্ট্রেলিয়া আগের মতো পোটেনশিয়ালিটি দিতে পারবে না কোয়াডে। এক্ষেত্রে কোয়াড রক্ষা করতে ভারতের দায়িত্ব বাড়ল। এমনকি বেজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে কোনও এফেক্ট পড়ে কিনা সেটাও দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version