Vietnam China: চিনের নয়া শত্রু হাত ধরল ভারতের! দিল্লি পাঠাচ্ছে ব্রহ্মাস্ত্র, আমেরিকা-বেজিং দ্বন্দ্বে লক্ষ্মীলাভ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Vietnam China: চিনের বড় শত্রু এগিয়ে এসে হাত মেলাল ভারতের সঙ্গে। আমেরিকা সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়লেই লাভ হচ্ছে দিল্লির। দিল্লি কাছে চলে এল গোপন কনট্র্যাক্ট, অ্যাকশন শুরু। বেজিং ভাবতেও পারেনি অতীতের অত্যাচার এভাবে ভারী পড়তে পারে। চিনের শত্রুদের একমাত্র ভরসা কেন ভারত হয়ে উঠছে? ভারত যুদ্ধ না করেও চিনের সর্বনাশ করছে৷ লাইন ক্রস করলেই ভারতের অস্ত্রেই ঘায়েল হবে ড্রাগন। বেজিংয়ের একের পর এক শত্রু খোলস ছেড়ে বের হচ্ছে। যাদের এতদিন ছোট দেশ বলে দাদাগিরি দেখিয়ে এসেছে চিন তারা চলে আসছে ভারতের টিমে। কিন্তু আমেরিকা থাকতে ভারত কেন? সেখানে তো ফায়দা অনেক বেশি।

ভারতের কাছে এমন কি আছে যা দিয়ে বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়ানো যায়? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন পরিস্থিতি যা তাতে আমেরিকা-চিনের দ্বন্দ্ব যত বাড়বে ততই ভারত এক ঢিলে দুই পাখি মারবে। এখানেই ইমপরটেন্ট খবর বিশ্বকে চমকে দিয়ে এখন চিন-আমেরিকা মুখোমুখি বৈঠকে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ওয়ান টু ওয়ানে বেজিংয়ের কড়া প্রশ্ন সহযোগিতা না সংঘাত? কোন পথে এগোবে আমেরিকা এখনই বেছে নিতে হবে। এমনও শোনা যাচ্ছে চিনের সর্বময় কর্তা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন ব্লিঙ্কন৷ এর পরিণতি কি সেই বিশ্লেষণ অবশ্যই আপনাদের জানা উচিত তবে তার আগে এটা জানুন এতে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বে ভারতের কি লাভ হচ্ছে? দক্ষিণ চিন সাগর লাগোয়া যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে এতদিন নিজেদের একতরফা আগ্রাসন দেখিয়েছে চিন। তারা এবার শক্তি বাড়াতে ধরে ধরে তারা ভারতের সঙ্গে পাকা করছে তাদের ডিফেন্স ডিল। ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়ার পর এবার আসরে ভিয়েতনাম ভারতের থেকে ব্রাহমোস সুপারসনিক ক্রুজ মিশাইল কেনার কথা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত এবার ব্রহ্মাস্ত্র পাঠাবে ভিয়েতনামে৷

সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন যবে থেকে ফিলিপিন্সকে ব্রাহমস ও আর্মেনিয়াকে পিনাকা মিশাইল দিয়েছে ভারত। তবে থেকে হু হু করে চাহিদা বাড়ছে এই দুই হাতিয়ারের ভিয়েতনাম চিনের প্রতিবেশী কিন্তু চরম দুশমন। ১৯৭৯ সালে চীন কেন ভিয়েতনামের ওপর হামলা করেছিল কেন যুদ্ধ হয়েছিল সেই ব্যকগ্রাউন্ডে নাই বা গেলাম। কিন্তু এখনও চিনের ক্ষতি হলে তাতে লাভ হয় ভিয়েতনামের। ভিয়েতনামকে রণতরী উপহার দিল ভারত। যা ভাসবে দক্ষিণ চিন সাগরে। ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল ফ্যান ভ্যান গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজনাথ সিং। আইএনএস কিরপান নামের মিসাইল কর্ভেটটি সম্পূর্ণ ভারতের দেশীয়। এর মানে ভিয়েতনামে বেজিংকে ঢুকতে গেলে ভারতের সামনা সামনি হতে হবে আগে। ২০২০ সালে দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের সর্ববৃহত্‍ দ্বীপ উডি আইল্যান্ড সেখানে চিনা ফৌজের যুদ্ধবিমান মোতায়েনের জেরে বেজিং-হ্যানয় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে চিনের একটি খনিজ উত্তোলনকারী জাহাজ ভিয়েতনামের জলসীমায় ঢুকে খনন শুরু করায় দু’দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

কূটনৈতিক মহল বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো আমেরিকা-চিনের সংঘর্ষের মাঝে পড়তে চাইছে না। তাই মার্কিন অস্ত্র ছেড়ে ভারতীয় দেশীয় অস্ত্রের দিকে ঝুঁকছে তারা। এতে ভারতের দুভাবে লাভ প্রথমত ভারতের দেশীয় অস্ত্র বাজার শক্তিশালী হচ্ছে দ্বিতীয়ত ভারত এখান থেকেই চিনের আগ্রাসনের মুহ তোড় জবাব দিচ্ছে। তথ্য বলছে চিনকে ঠেকাতে ও অস্ত্রের বাজারে ছাপ ফেলতে ফিলিপিন্সের কাছে ইন্দো-রুশ সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইল রপ্তানি করতে চলেছে ভারত। এছাড়াও, ব্রহ্মস রপ্তানির তালিকায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। কূটনৈতিক মহল বলছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে তৈরি আসিয়ান গোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ভিয়েতনাম ফলে হ্যানই-দিল্লি যুগলবন্দিতে বেজিংয়ের ঘুম উড়ে গিয়েছে অলরেডি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version