জি ২০-তে চীনের লাভের চেয়ে লস হল বেশি! বন্ধুরা কেন বদলে যাচ্ছে ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

জি২০তে চীনের লাভের থেকে লস বেশি। জি২০তে মোদীর সঙ্গে কি গোপন বৈঠক হয়েছিল চীনের? কারা কারা এসুযোগে চীনের হাত ছাড়ল? চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত এই বিবৃতি দিল বেজিংকে। জি২০শুরুর আগে একটা হুঁশিয়ারি জাকার্তা থেকে মোদী দিয়েছিলেন বেজিংকে। তার কত বড় প্রভাব পড়ল বেজিংয়ের ওপর জানেন? কোন কোন দেশ প্রকাশ্যেই চীনের হাত ছাড়ল? এখন ভারতের নেতৃত্বে এই সাহসটা জন্মাচ্ছে অনেক ছোট ছোট দেশের। দুটো দেশ তিনটে ইস্যু বেজিং হতবাক! হয়ত এবার বিশেষ কিছু আশাও করেননি জিনপিং এই সম্মেলন থেকে কিন্তু বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যে এভাবে হোঁচট থেকে হবে সেটাও ভাবা যায়নি। বেজিং এরপরও অ্যাকশন নিতে পারছে না কিন্তু তা বলে দাপাদাপি কম হয়নি চীন বলছে জি২০ অর্থনৈতিক ফোরাম কোনও জিও পলিটিক্যাল প্লাটফর্ম নয় কিন্তু তারপরও তো বাংলাদেশ ও ইতালির কাছে পর্যুদস্তু হতে হল জিনপিংকে।

একটা বিষয় ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে ভারত, পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপে আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে ঘোষিত হয়েছে এক নতুন রেল ও জাহাজ চলাচলের করিডর। ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রেল ও সমুদ্রপথে সংযুক্ত করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা একপ্রকার নিশ্চিত এটা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একটা বিকল্প। পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সম্প্রসারণের চেষ্টা ভারত যখনই করেছে তখনই বাদ সেধেছে পাকিস্তান। তারা কখনো চায়নি ভারতকে সেই সুযোগ দিতে। আর এবার তো এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাষ্ট্রও আগ্রহী তার প্রধান কারণ, দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়ায় চীনের প্রভাব কমানো।

এর মানে এটা একবার তৈরি হলে বেজিংয়ের তাতে বড়সড় লস হবে ইতালিও এবার বিআরআই থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। আর সেই ইঙ্গিতটাও একেবারে জি২০র শুরুতেই তারাই দিয়ে দিল। যা নিয়ে কম জলঘোলা হচ্ছে না। আর কফিনে শেষ পেরেকটা বোধহয় পুঁতে দিল বাংলাদেশই। শেখ হাসিনা ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে পরিস্কার করে দিলেন বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক কী?পরিস্কার করে দিলেন ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের চীন তার ধারেকাছেও আসার ক্ষমতা রাখে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চীন চেয়েছিল নানা ধরণের বিতর্ক তৈরি করে জি২০ সম্মেলন ভারতকে ব্রিবত করতে ব্যর্থ করতে কিন্তু জি২০ ব্যর্থ হল না বেজিংয়ের ফেলিওর প্রকাশ্যে চলে এল।

শেষপর্যন্ত মুখ খুলল চীন বৈঠক শেষে প্রথমবার জি-২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র নিয়ে চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে একযোগে কাজ করা যায় তার জন্য ইতিবাচক সংকেত দেওয়া হয়েছে এখানে। এবার হয়তো ভারতকে উস্কানোর আগে দুবার ভাবতে চীন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version