।। প্রথম কলকাতা ।।
চীন চাইছে ভারত ভাগ হোক দুভাগে। চীনের ভুলে ফাঁস হয়ে গেল ভারত ভাগ করার চাঞ্চল্যকর স্ট্র্যাটেজি। ওবামার মুসলিম ইস্যুর মন্তব্যকে দুহাত তুলে সমর্থন বেজিংয়ের কেন? চীন নিজে আগামী ১০ বছরে টিকে থাকতে পারবে তো? শুধু মাত্র অস্ত্র, যুদ্ধ, সীমান্তে উস্কানি নয়৷ ভারত যাতে পুরোপুরি মাথা নোয়ায় চীনের কাছে চাঞ্চল্যকর প্ল্যান এবার হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল বেজিংয়ের। বারাক ওবামার মুসলিম ইস্যুকে সমর্থন করতে গিয়ে বড় ফাঁদে পা দিল চীন। ভারত আরও কড়া হবে এবার। বারাক ওবামা আমেরিকায় বসে বলেছিলেন ভারতের মুসলিমদের অধিকার না রক্ষা করা হলে ভারত দুভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে। ওবামার এই মন্তব্যটাই যেন আসলে এতদিন শুনতে চাইছিলেন শি জিংপিং। দেখুন মোদীর ওয়াশিংটন থেকে ফেরার কয়েকদিনে মধ্যেই চালু অ্যাকশন।
চীনের সরকারী সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্টে বলা হচ্ছে একেবারে ঠিক কথাই তো বলেছেন ওবামা। ভারতের উন্নতি সুদুরপ্রসারী হবে না যদি না ভারত এইধরণের সমস্যার সমাধান করে। আচ্ছা বলুন তো ভারতের কিসে ভালো হবে কিসে খারাপ তা নিয়ে হঠাৎ এতদিন উদ্বিগ্ন কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখানেই তো লুকিয়ে রয়েছে আসল কারণ। ২০২৩ এ দাঁড়িয়ে চীনের আসল সত্যি ফাঁস হয়ে গেল। কূটনীতিবিদদের দাবি, ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো হোক চীনের এমন মনোস্কামনা বহুদিন ধরে। ২০০৯র এই রিপোর্ট দেখুন চিনের থিঙ্কট্যাঙ্করা লিখছেন ভারত ভেঙে ভাগ ভাগ হয়ে যাবে। সেইসময় একটা নয় পরপর এমন বহু আর্টিক্যাল পাবলিস করেছিল চিনের সংবাদমাধ্যম। এমনকি আমেরিকাও চিনের এই ইমেজে অবাক হয়ে গেছিল। কিন্তু প্রশ্নটা হল ভারত ভেঙে যাক এমন চিন চাইছে কেন? ভারত ভাগের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে বেজিংয়ের কী লাভ?
কূটনৈতিক মহলের দাবি, চীনের আশেপাশে থাকা বহু দেশ ভেঙে ভাগ হয়ে গিয়েছে উত্তরে USSR (Union of Soviet Socialist Republic) সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল একসময় তাদের ছায়াতেই চলত চীন। ১৯৯১ এর আগে USSR ছিল এশিয়ার কিং, কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ায় বদলে যায় পাওয়ার ইকুয়েশন মধ্য এশিয়ায় কাজাগিস্তান, তুর্কমেনিস্তান অনেক দেশ তৈরি হয় এবং দেখুন চিন কিন্তু রাশিয়াকে ফলো করে না বরং রাশিয়া ফলো করে চিনকে। বেজিং চায় ভারতও ভেঙে যাক এবং দুর্বল হয়ে পড়ুক তাতে তাদের শক্তি বাড়বে কিন্তু আগামী ১০ বছরে চীন নিজে টিকে থাকতে পারবে তো? মোদীর সফরে জেনেবুঝে মুসলিমদের টপিক তুলেছিলেন ওবামা। ২০০৯ সালে ওবামা আমেরিকা রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনই চীনের একের পর এক আর্টিক্যাল পাবলিস হত। তখনও গালওয়ান হয়নি, কোয়াডের থেকেও দূরে ছিল ভারত তারপরও এর মাঝে কোনও যোগ বা লিঙ্ক হয়ত নাই থাকতে পারে।
ওই আর্টিক্যালগুলো পড়লে বোঝা যাবে মোট তিনটে কমিউনিটি চিনের টার্গেট প্রথম অসমিয়া, কাশ্মীরি ও তামিল বেসিক্যালি দক্ষিণ ভারত এমন গ্রুপকে তারা ফান্ডিং করো যারা ভারতের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে। চীনের সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি আর হবেও না। তাবড় তাবড় মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক যারা রাতদিন গবেষণা করছেন, প্যাটার্ন ফলো করছেন তারা বলছেব ভারত কোনোদিনই ভাগ হবে না একমাত্র এর গণতন্ত্রের জন্য। বরং আগামী ১০ বছর চীনের পাওয়ার অনেকাংশে কমে যেতে পারে। তাইওয়ানের সঙ্গে যুদ্ধে চীন জড়ালে ভারতের কাছে তা হবে বড় সুযোগ হবে৷ যুদ্ধবিদ্ধস্ত রাশিয়ার অর্থনীতির অবস্থা দেখেছেন তো চিনের হাল আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূর্খের মতো ওবামার মন্তব্য সমর্থন করতে গিয়ে নিজের জালে নিজেই ফাঁসল চীন৷ ভুলে গেলে চলবে না এটা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ৷ ২০০৯ চীনের মন্তব্য নিয়ে হইচই না হলেও এখন হবে৷ আর তাতে বিগড়াবে ড্রাগনের দেশের ইমেজ৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম