অরুনাচল নিয়ে চীনের নোংরা খেলা, ফুঁসছে দিল্লী স্টেপল ভিসায়, প্রতিবাদে বড় স্টেপ

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের বড় বেইমানি অরুনাচল প্রদেশ নিয়ে ভারতকে মাঝরাতে নাস্তানাবুদ করার চেষ্টা আপনাকে চমকে দেবে।
কৌশলী চাল স্টেপল ভিসায় দিল্লির কাজে বাধা। স্টেপল ভিসা আসলে কী? ক্ষুব্ধ দিল্লি পাল্টা দেবে তৈরি তো জিনপিংয়ের দেশ? অরুনাচল প্রদেশ নিয়ে রীতিমত নোংরা খেলা বেজিংয়ের। মাঝরাতে দিল্লি এয়ারপোর্টে যা হল তাতে ভারতের আরও চক্ষুশূল হল বেজিং। দুদেশের কূটনৈতিক মহলে কার্যত তুলকালাম। এসব করে কি আদৌ হাতানো যাবে অরুনাচল প্রদেশ। এমূহুর্তে এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন।

ঠিক কোন খেলাটা খেলল ড্রাগনল্যান্ড৷ যারা জোর পাল্টা দিল ভারত। চিনের চেংদু শহরে ২৮ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গেমস। সেখানেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দিল্লি থেকে চিনগামী বিমানে ওঠার কথা ছিল ভারতের আট সদস্যের উশু (এক ধরনের মার্শাল আর্ট) দলের। এদের মধ্যে ৩ সদস্য ছিলেন অরুনাচল প্রদেশের বাসিন্দা। তবে চিনা কর্তৃপক্ষ অরুণাচলের তিন ক্রীড়াবিদকে সাধারণ ভিসা দেওয়ার পরিবর্তে স্টেপলড ভিসা দেয়। স্টেপলড ভিসা কী সেটা জানার আগে জেনে নিন ভারত এর প্রতিবাদে কী করল। চীনের এই জঘন্য চালের প্রতিবাদে অরুণাচল প্রদেশ সহ বাকী ক্রীড়াবিদদের গোটা দলকেই চিনে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।

স্টেপলড ভিসা কি? কেন বেছে বেছে অরুনাচল প্রদেশের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হল এই ভিসা? অরুণাচল প্রদেশকে চিন রাজনৈতিক কারণে ভারতের অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না। তাই অরুণাচলের কোনও বাসিন্দা চিনে যেতে চাইলে তাঁর পাসপোর্টে ভিসা মঞ্জুরের স্ট্যাম্প দেয় না চিনের অভিবাসন দফতর। দেওয়া হয় স্টেপলড ভিসা। এর মানে একটি আলাদা কাগজে ভিসা মঞ্জুরের স্ট্যাম্প দিয়ে। তা পাসপোর্টের সঙ্গে স্টেপল করে আটকে দেওয়া হয়। পরে কাগজটি ছিঁড়ে দিলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভারতীয় নাগরিক হিসাবে চিন সফরের নথি থাকে না। তথ্য বলছে এমন নোংরা চাল আগেও চেলেছে বেজিং।

অতীতে অরুণাচল প্রদেশের খেলোয়াড়দের চিনের স্ট্যাপলড ভিসা দেওয়ার একাধিক উদাহরণ রয়েছে। তবে এবার ভারত নিল কড়া অবস্থান। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন চিনে একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে যাওয়া কয়েকজন ভারতীয় নাগরিককে স্টেপল ভিসা দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং আমরা চিনের কাছে দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছি। কূটনৈতিক মহলের দাবি আগামী দিনে চিনের অরুণাচল নীতির প্রতিবাদে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদী সরকার। এবার দেখার কোন পথে সেই বদলা নেয় ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version