চীনের সাধু সাজার চেষ্টা বিফলে! ভিলেন বানালো আমেরিকাই, মোদী কী বলবেন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

বিতর্ক তৈরি করে চীনের সাধু সাজার চেষ্টা বিফলে গেল। ভারতকে নিয়ে ফের বড় মন্তব্য করে দিল জিনপিংয়ের দফতর। আমেরিকা কী নাক গলানোর চেষ্টা করছে ভারত-চীন সম্পর্কে। জি২০র মঞ্চেই বেজিংকে বড় দাওয়াই দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। বিতর্ক তৈরি করে সেই বিতর্ক মেটানোর চেষ্টা! না এটা যে নাটক করছে বেজিং তাতে কোনও সন্দেহই নেই। চীনের তরফ থেকে পরিস্কার বলে দেওয়া হল ভারতের সঙ্গে তো তাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। অনেকেরই শুনতে এটা কানে লাগলেও এমনটাই সত্যি‌।

এখানেই কাজ করছে একটা ফ্যাক্টর৷ আমেরিকা কী কোনওভাবে চাইছে ভারত-চীন সম্পর্কের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে? কারণ চীন জি২০তে জিনপিং অনুপস্থিতির কথা নিশ্চিত করার পরইৎসঙ্গে সঙ্গে বাইডেন বলছিলেন তিনি এতে বেশ অসন্তুষ্ট। এরমাঝেই ফের এল হোয়াইট হাউজের বড় বয়ান। আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য বলছে বেজিং দাবি করেছে কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও সামগ্রিকভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সেদেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মাও নিং বলেন ‘‘সামগ্রিক ভাবে ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল। বিভিন্ন স্তরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও যোগাযোগ চলছে তাদের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জি২০ বৈঠকে যোগ দেবেন’’।

তার আগে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেইও এনিয়ে কড়া মন্তব্যই করা হয়। সত্যিই কি ভারত এবং চিনের সীমান্ত সংঘাত জি২০ সম্মেলনে প্রভাব ফেলবে? এর উত্তরে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান বলেন, “বিষয়টি চীনের উপর নির্ভর করছে। যদি চীন জি২০ সম্মেলনে আসতে চায় এবং পণ্ড করার ভূমিকা নিতে চায় সেই বিকল্পও তাদের হাতেই রয়েছে এর মানে বুঝতে পারছেন যুক্তরাষ্ট্রও কিন্তু চীনকে রীতিমত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল। কূটনীতিবিদদের দাবি, ভারত এখনও চীনের প্রেসিডেন্টের জি২০তে অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি এতে জি২০তে কোনও প্রভাব পড়বে কিনা সে নিয়েও দিল্লিকে কোনও বিবৃতি দিতে শোনা যায়নি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুখ খুলে দিল। এবার দেখার আগামী দিনে এর কোন কূটনৈতিক প্রভাব পড়ে জিও পলিটিক্সে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version