।। প্রথম কলকাতা ।।
Thailand-Myanmar-India Trilateral Highway: একটা রাস্তা তৈরি করছে তিনটে দেশ। এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক এর কাজ চলছে জোর কদমে। কীসের আদলে তৈরি হচ্ছে ভারত থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার রাস্তা? কোন রুটে এই রাস্তার মাধ্যমে থাইল্যান্ড পৌঁছতে পারবেন আপনি? কত দিনের মধ্যে শেষ হবে কাজ? ডেডলাইন কি? মোদীর অ্যাক্ট ইষ্ট পলিসিতে জোর ঝটকা খেল চীন। ভারতের কোন কোন জায়গা ছুঁয়ে যাবে এই হাইওয়ে? থাকছে কলকাতার জন্য সুবর্ণ সুযোগ। ভারতের এই একটা চাল, পুরো নাড়িয়ে দেবে চীনকে। কেন্দ্রের অ্যাক্ট ইষ্ট পলিসি সত্যিই কী চীনের অর্থনীতিতে এফেক্ট ফেলবে?
বর্তমানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে চীনের ব্যবসা। কিন্তু এই হাইওয়ে তৈরি হলে অঙ্কটা ঘুরে যেতে পারে। কারণ, তখন ওই দেশগুলোর সাথে ভারতের সংযোগ বাড়বে। খুব স্বাভাবিকভাবেই চীনের উপর ওই দেশগুলোর নির্ভরতা কমবে। অনেক দেশ ভারতের কাছে ফিরে আসবে। ভারতের সাথে এশিয়ার অন্যান্য দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে চীন তখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যেতে পারে। অতএব, ভারত থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার রাস্তাই এখন নয়াদিল্লির তুরুপের তাস। তিন দেশ যৌথভাবে এই হাইওয়ে নির্মাণ করছে, ভারত মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। অর্থাৎ, এই হাইওয়েটি তিনটে দেশের মধ্যে দিয়ে গেলেও এর বেশিরভাগ অংশই পড়বে ভারতে। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার। খুব বেশি দিন সময় লাগবে না, দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে কাজ।
সম্প্রতি কলকাতায় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের একটা অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে হাইওয়ের যে অংশ থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে যাবে তার কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কবে হাইওয়ে চালু হবে এখন তার নির্ভর করছে মিয়ানমার এবং ভারতের কাজের উপর। তাদের মিয়ানমার এবং ভারতেও যেভাবে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে তাতে খুব বেশি দিন সময় লাগবে না বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে এই হাইওয়ে নির্মাণ এর কাজ শেষ হয়ে যেতে পারে। মোদী সরকারের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটার কাজ ৭০ শতাংশ কমপ্লিট, এটাই বড় সুখবর। কিন্তু, শুরুতেই কেন বলেছিলাম যে কলকাতার জন্যেও থাকছে সুবর্ণ সুযোগ? আসলে বলা ভালো বাংলার জন্য এটা দারুন সুযোগ।
কারণ, প্রস্তাবিত রুট অনুযায়ী এই হাইওয়েটি কলকাতা থেকে শুরু হয়ে শিলিগুড়িতে যাচ্ছে এবং তারপর বাংলার সীমান্ত থেকে বিহার হয়ে আসামে প্রবেশ করছে। আসাম হয়ে ডিমাপুর ও নাগাল্যান্ড যাওয়ার পর মণিপুরের ইম্ফলের কাছে মোরেহ নামক একটা জায়গা থেকে রুটটা মিয়ানমারে চলে যাচ্ছে। মিয়ানমারের বাগো ও ইয়াঙ্গুন হয়ে হাইওয়ে টি থাইল্যান্ডে পৌঁছবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই হাইওয়ে নির্মাণের কাজ শেষ হলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটবে। আজ নয় সেই বাজপেয়ী সরকারের আমলে এই রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর এই কাজের আর কোনও অগ্রগতি ঘটেনি। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সাল থেকে পুনরায় রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি এই হাইওয়ে তৈরির কাজকর্ম খতিয়ে দেখছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার রয়েছে। তবে সেগুলো খুব শীঘ্রই মিটেও যাবে। কাজ মিটলে শুধু হাইওয়ে চালুর অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম