পরমবন্ধুর অসময়ে পাশে দাঁড়াল চীন, বড় স্বস্তি পাকিস্তানের! মহঃ আলি জিন্নাহর কথাই সত্যি হচ্ছে

।। প্রথম কলকাতা ।।

না, চীন পাকিস্তান বন্ধুত্ব কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। ২০২৩ এ চীনের ঋণ ভুলবে না পাকিস্তান। দমবন্ধ পাকিস্তান এর অর্থনীতিতে অক্সিজেন জোগাচ্ছে চীন। মুখ ফিরিয়েছে আইএমএফ। তাতে কি? পরীক্ষিত প্রতিবেশী চীন আছে তো। বিপদের দিনে ইসলামাবাদকে বড় ঋণ দিল বেইজিং। কিন্তু, এই চীনা ঋণ কতটা স্বস্তি দিল শাহবাজ সরকারকে? অটুট বন্ধুত্বের এক অনন্য উদাহরণ চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক। এক, দুই নয়; কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭২ বছর। কে না জানে, বিভিন্ন সময় বৈরী পরিবেশে একে অপরের বন্ধুত্বের পরীক্ষায় পাশ করেছে চীন পাকিস্তান। এবারেও তার অন্যথা হলো না। পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চীনের অবদান ভোলার নয়।

চীন থেকে বড় অংকের ঋণ পেল ইসলামাবাদ। অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই পাকিস্তানকে আবারও ১০০ কোটি ডলারের ঋণ দিল বন্ধু চীন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮ হাজার ১৯২ কোটি টাকারও বেশি। এর আগে নির্ধারিত তারিখের ১৮ দিন আগে চীনের ১০০ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে পাকিস্তান। গোটা বিশ্ব জানে, গত কয়েক মাস ধরেই নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে পাকিস্তান। বর্তমানে দেশটার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে। দেশটা দেউলিয়া হওয়ার মুখে।

এই পরিস্থিতিতে, আইএমএফ ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। হ্যাঁ, আইএমএফের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিল শাহবাজ প্রশাসন। ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের। তবে, তার জন্য অনেক শর্ত চাপিয়েছিল আইএমএফ। যা কমানোর আবেদন করেছিল পাক প্রশাসন, কারণ অতো শর্ত পূরণ করতে পারবে না ইসলামাবাদ। কিন্তু শাহবাজ শরিফের আবেদন অগ্রাহ্য করে ঋণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আইএমএফ।য়বিশেষজ্ঞদের মতে, এমতাবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষে ফের নতুন করে আবেদন করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। অথচ, ঠিক এই পরিস্থিতিতে চিনের ঋণ, চিনের এই অর্থ সাহায্য পাকিস্তান কে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই প্রথম নয় গত ৭২ বছরে পারস্পরিক সমর্থন, সাহায্য, শ্রদ্ধাবোধের জায়গায় অটুট এই দুই দেশের সম্পর্ক। এক দেশ অন্য দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তেমনই পারস্পরিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেও সচেতন থেকেছে। বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে সাহায্য করতে যথাসাধ্য এগিয়ে এসেছে চীন। ঋণ দিয়ে পাকিস্তানের কষ্ট লাঘবের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে বেইজিং। তাছাড়া, ২০২৩ সালে চীনের বেল্ট ও রোড ইনিশিয়েটিভের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে এই করিডোর। ইতিহাস বলছে, পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক সব রাজনৈতিক বাধা অতিক্রম করেছে। এই সম্পর্ককে আরও উন্নত স্তরে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দুই দেশই। বাকিটা সময় বলবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version