India: ভারতের মোক্ষম অস্ত্রে ঘায়েল হবে চীন-পাকিস্তান!ত্রাসের আরেক নাম ‘গার্ডিয়ান’, স্বার্থসিদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের

।। প্রথম কলকাতা ।।

India: এবার খতরনাক ড্রোনের খেলা দেখাবে ভারত, যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। আল-কায়দা প্রধান হত্যায় ব্যবহৃত মার্কিন ড্রোন আসতে চলেছে এবার ভারতের হাতে। ভয়ে সিঁটিয়ে যাচ্ছে চীন, পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ড্রোন মেগা চুক্তি কি তাহলে ফাইনাল? ভারতের সঙ্গে ড্রোন চুক্তিতে কেন এতো আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের? যে ড্রোন নিয়ে এতো তোলপাড়, তার শক্তি সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল আপনারা? ছিন্নভিন্ন হবে শিকার, বলে বলে শত্রু বধ করবে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ড্রোন কেনার জন্য, একটা বড়সড় অস্ত্র চুক্তি সারতে নয়াদিল্লিকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। এদিকে, ভারত দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ওই খতরনাক ‘গার্ডিয়ান’ ড্রোন কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও নানান কারণে তা বারংবার পিছিয়ে গেছে। কিন্তু এবার হয়তো এই চুক্তি ফাইনাল হয়ে যেতে পারে। ড্রোন সম্পর্কে এই ইনফরমেশনগুলো জানলে চমকে যেতে বাধ্য।

আমেরিকার তৈরি গার্ডিয়ানের মধ্যে রয়েছে সি গার্ডিয়ান, স্কাই গার্ডিয়ান। প্রিডেটর ড্রোন এমকিউ ১ এর নতুন ভার্সন এমকিউ ৯ রিপার ড্রোন। এমকিউ-৯ রিপার নামের ঘাতক ড্রোনটি ‘গার্ডিয়ান’ নামেও পরিচিত। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সিগার্ডিয়ান কেনার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। সিগার্ডিয়ান রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম যা মূলত সামুদ্রিক অঞ্চলে নজরদারি ও আঘাত হানার জন্য ব্যবহার করা হয়। এক কথায় এটাকে অস্ত্র-সহ রিমোটচালিত ক্যামেরা ভাবতে পারেন। এর ক্ষমতা কিন্তু মারাত্মক।

এই সিগার্ডিয়ান সব ধরনের আবহাওয়াতেই প্রায় ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চালনা করা যেতে পারে। তবে, কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে। এতে অতি শক্তিশালী মেরিটাইম রাডার, স্বয়ংক্রিয় সনাক্তকরণ ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক অ্যাসিস্ট সিস্টেম এবং একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার মিশন কিট রয়েছে।
এই অ্যাটাক ড্রোন ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় থেকে শত্রুর উপর আঘাত হানতে পারে। সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা ১,৭৪৬ কিলোগ্রাম অর্থাৎ, শত্রুর এলাকার গভীরে ঢুকে হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে ‘এমকিউ-৯ রিপার’-এর। শক্রপক্ষের রেডারের নজরদারি এড়াতে সক্ষম এই হানাদার ড্রোন ৯৫০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিনের সাহায্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম। নৌসেনার টহলদারির ক্ষমতা এক লহমায় বাড়িয়ে দেয় এই রিমোটচালিত ড্রোন।

জানলে অবাক হবেন, গত দু’দশকে আমেরিকার প্রিডেটর ড্রোনের শিকার হয়েছেন অনেকেই। ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং আল কায়েদা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করেছিল প্রিডেটর ড্রোন। এমকিউ সিরিজের সেই প্রিডেটর ড্রোনের আধুনিকতম সংস্করণ হাতে পাচ্ছে ভারত। ওই সিরিজেরই এমকিউ-৯বি সি গার্ডিয়ান মডেলটা কেনার চান্স রয়েছে। তাতে দুই দেশের মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের একটি বাণিজ্যিক চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে, আমেরিকার থেকে প্রিডেটর ড্রোনও কেনার কথা চলছে। এফ-৪১৪ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন কেনার চুক্তিও চূড়ান্ত হওয়ার কথা। এই চুক্তির ফলে ভারত-আমেরিকা স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ আরও মজবুত হতে চলেছে। তবে, এই প্রথম নয় এমকিউ সিরিজ়ের ড্রোন ব্যবহারের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার। ২০১৭ সালে আমেরিকা থেকে দু’বছরের লিজ়ে দু’টি এমকিউ-৯বি ড্রোন নিয়েছিল নৌসেনা।

ড্রোন মেগা চুক্তির বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের আগে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে আমেরিকা। কিন্তু কেন? কিসের এত আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের? চীনকে পালটা জবাব দিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও শক্তিশালী হোক সেটাই চায় আমেরিকা, সেই জন্যই যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক ড্রোন বিক্রি করতে আগ্রহী বাইডেন প্রশাসন। যদিও পুরো বিষয়টা এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। ভারতের তরফে ড্রোন কেনা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ‘অস্ত্র বা ড্রোন কেনা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত ভারতের। ভারত যা ঠিক করবে সেটাই চূড়ান্ত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই নিয়ে ভারতের চুক্তি হোক, সেটাই চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’। আগামী ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হোয়াইট হাউস সফরের কথা। আর সেই দিনই এই চুক্তি পাকা করে ফেলার বিষয়ে কোমর বেঁধে নামতে পারেন মার্কিন কর্তারা, এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version