পাকিস্তানকে ক্যাপচার করল চীন! শাহবাজ শরিফের ওপর হামলা, কে বাঁচাবে ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

পাকিস্তানের মিডিয়া কাজ করবে চীনের কথায়? ভারতবিরোধী বড়সড় অ্যাজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামছে বেজিং। নওয়াজ শরিফের পাকিস্তানে ফেরা কী জিনপিংই রুখে দেবে? পাকিস্তান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের এ কী হাল? চীন এবার পাকিস্তানকে দিয়ে নয়া পথে ভারতের ক্ষতির প্ল্যান কষছে? পাকিস্তানের সন্ত্রাসে এতদিন চীন মদত দিয়ে এসেছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে চীনের দাপট রয়েছে। পাকিস্তান কার্যত চীনের কথাতেই ওঠবোস করে, এতটা তো জানত গোটা দুনিয়া। এবার পাকিস্তানের গণমাধ্যমও চলবে বেজিংয়ের কথায়।

এমনটা যদি হয়ও পাকিস্তানের ইগনোর করার ক্ষমতা নেই ক্ষমতা নেই। জিনপিংয়ের সিদ্ধান্তের ওপর কোনও কথা বলার বলছেন পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী মহলেই কিন্ত এই খবর কোথাও না কোথাও দিল্লির মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে। চীনে যে ধরণের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে ভারত তা চেনে ভারতে এমনটাই হয়ত নিউজক্লিকের হাত ধরে চালাতে চেয়েছিল বেজিং। ভারত ফেল তো এবার ইসলামাবাদ টার্গেট? এর মাঝেই খবর পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এখন পালিয়ে বাঁচছেন। কারণ পাকিস্তানে অলরেডি তাঁর ওপর হামলা হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানীরা কার্যত ক্ষেপে লাল হয়ে গিয়েছে শাহবাজের ওপর। জানা যাচ্ছে শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে নির্বাচনী জনসভায় হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য বলছে মুদ্রাস্ফীতিতে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ তাঁকে লাহোরে গাড়ি থেকে নামতেও দেয়নি। লোকজন তার গাড়ি ঘিরে ফেলে এবং গাড়ির বনেটে জোরে জোরে মারতে শুরু করে। মানুষ বলছে, শেহবাজ শরিফের কারণে দুর্নীতি ও মুদ্রাস্ফীতি চরমে পৌঁছেছে।

প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন পার্টি পিএমএলএন নেতার এই হাল হলে আগামী নির্বাচনে কী হতে পারে দলটার? এই দলেরই নেতারা বলছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ কোনো চুক্তি বা শর্তের ভিত্তিতে দেশে ফিরছেন। এমনটাই দাবি করেছেন দলটির নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। এর মানে অবাধভাবেই পাকিস্তানে ঢুকবেন নওয়াজ কিন্তু পাকিস্তানের জনতা কি আর কোনওভাবে নওয়াজ শরিফকে তাদের নেতা বলে মেনে নেবেন? বড় প্রশ্ন উঠছে। মার্কিন এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বেজিং। পাক সংবাদমাধ্যমকে ইতিমধ্যেই প্রায় নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছে চীন। এর মধ্যে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্যও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বেজিং। তাদের লক্ষ্য আরও বেশি দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনের কমিউনিস্ট সরকার বিরোধী খবর প্রচার রোখা। এই কাজে নাকি পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই সফল হয়েছে বলেও মার্কিন ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।  এবার দেখার ভারতবিরোধী কোনও অ্যাজেন্ডা চালাতে পাকিস্তানের মিডিয়াকে ব্যবহার করলে দিল্লি এর পাল্টা কীভাবে দেয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version