যুদ্ধে জড়াচ্ছে চীন যুক্তরাষ্ট্র? হটলাইনে তীব্র আপত্তি, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানেজ পলিসি ডাহা ফেল

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের সেনাবাহিনী কি আমেরিকার সাথে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটছে?‌ কোন পথে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক? দঃ চীন সাগর আর তাইওয়ান প্রণালী নিয়ে চীন যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত সত্যিই কি শুরু হতে যাচ্ছে? ঝঞ্ঝাট এড়াতে হটলাইন চালুর দিকে পাল্লা ভারী যুক্তরাষ্ট্রের, বড় অ্যালার্জি চীনের। হটলাইন চালু হলে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুই দেশের দ্বন্দ্বের তীব্রতা কমার চান্স কতটা? অহংকারের জোরে নিজেদের দাবি মানাতে মরিয়া মার্কিনিরা। কিন্তু, আদৌ কী সংঘাত রুখে দিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের এই স্ট্র্যাটেজি? আজ নয়, দীর্ঘদিন ধরেই চীনের সঙ্গে যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে হটলাইন চালু নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

সহজ ভাষায় হটলাইন হলো জরুরি মুহূর্তে ব্যবহারযোগ্য একটা বিশেষ যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেখানে কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে কোনো সাইবার হামলার সতর্কবার্তা বা সামরিক কোনো পদক্ষেপের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি তথ্য আদানপ্রদান করা হয়। এটাই চীনের থেকে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলিটারি-টু-মিলিটারি যোগাযোগের প্রস্তাব বারেবারেই প্রত্যাখ্যান করে আসছে চীন। যদিও, বিশেষজ্ঞদের মতে এই হটলাইন চালুর পথে না হাঁটলেও চলবে। কারণ, চীনের লিবারেশন আর্মি অলরেডি জানে দক্ষিণ চীন সাগর বা তাইওয়ান প্রণালিতে কীভাবে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। কিন্তু, যেহেতু দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালিকে নিজেদের অংশ মনে করে চীন, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হোক বা অস্ট্রেলিয়ান, জাপানি হোক বা কানাডিয়ান জাহাজ, এমনকি বিমানের সাথেও যোগাযোগ করে তাদেরকে আগেভাগেই সতর্ক করে দেয় চীন। ওই অঞ্চল থেকে তাদের দূরে থাকতে বলে। নিজেদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট বারবার স্পষ্ট করে দেয় দেশটা।

ফলে, বিশেষ ‘যোগাযোগ চ্যানেল’ থাকা না থাকায় চীনের যে কিছু এসে যাবেনা সেটা একপ্রকার পরিষ্কার। কারণ হটলাইন চালু হলেও, মার্কিনিরা চীনের সাথে জরুরী পরিস্থিতিতে যোগাযোগ করতে পারলেও বিষয়টা অর্থহীন হয়েই থেকে যাবে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুশি না হলেও, তাতে চীন পাত্তা দেয় না। তাই, হটলাইন চালুর পরিবর্তে, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় নিজেদের নৌবাহিনী, জাহাজ, সাবমেরিন, অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইলের স্টক থাকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, চীনের উদ্দেশ্য আমেরিকানদের এশিয়া-প্যাসিফিক থেকে তাড়িয়ে চীনা লিবারেশন আর্মির আধিপত্য বিস্তার করা। ফলে, হটলাইন চালু হলেও ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন-চীন দ্বন্দ্বের তীব্রতা কমার চান্স নেই। আর, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে তারা যদি কারও সাথে কথা বলতে পারে তবে তারা যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে। তাই, যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, আর যাবেও। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে চীনা সেনারা কী করবে? তাহলে কী সংঘাতের পথে হাঁটতেই, হটলাইন স্ট্র্যাটেজির ফাঁদে পা দিচ্ছে না বেইজিং? সময়ের সাথে সাথে পরিষ্কার হবে চিত্রটা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version