চন্দ্রযান ৩ ধাক্কা মারবে চীনের চাঙ-আকে! মহাকাশে লড়াই, জ্বালা ধরানো প্রতিক্রিয়া বেজিংয়ের

।। প্রথম কলকাতা ।।

চন্দ্রযান- ৩ নিয়ে চীন জ্বালাধরানো প্রতিক্রিয়া দিল চীনের মহাকাশযানের সঙ্গে প্রজ্ঞান রোভারের ধাক্কা হতে পারে? চীনের চাঙ-আ- ৪ প্রজ্ঞানের থেকে ঠিক কতটা দূরে? চীন কী এবার চাঁদের মাটিতেও কলকাঠি নাড়বে! চীনের মহাকাশযানও চাঙ-আ-৪ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নাকি? চন্দ্রযান-৩ এর রোভার প্রজ্ঞানকে কীভাবে কন্ট্রোল করবে ইসরো চাঁদের মাটিতেও এবার যুদ্ধের পরিবেশ ঘনাচ্ছে? দেরিতে হলেও ভারতের চাঁদের সফলতায় রিয়াক্ট করল বেজিং কিন্তু যা বলল তা শুনলে অবাক হতে হয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সরাসরি চীনের কমিউনিস্ট সরকার বা চীনা প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে নয় কিন্তু বিশ্বজোড়া সফলতার পরও ভারতকে নিচু করতে ছাড়ল না চীনের সরকারী সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।

তথ্য বলছে ২০১৯ সালে চাঙ-আ-৪ চাঁদে পাঠায় চীন ‘সাউথ পোল এইটকেন বেসিন’ যা চাঁদের দূরবর্তী দিকের মাটি ছুঁয়েছিল এই যান চাঁদের এই উল্টোপৃষ্ঠে কোন মহাকাশযানকে অবতরণ করানো বেশ কঠিন বলেই ধরে হয়ে থাকে। আর এবার সাউথ পোলে হেঁটেচলে বেড়াচ্ছে ভারতের প্রজ্ঞানও। তাহলে কী যে কোনও সময় এই দুই যানের সংঘর্ষ বাধতে পারে? এক্ষেত্রে কী বলছে নাসা? সৈয়দ আহমেদ প্রাক্তন নাসার বিজ্ঞানী এক্ষেত্রে জানিয়েছেন ইসরোর প্রজ্ঞান রোভার ও চাঙ-আ-৪ এর মধ্যে দুরত্ব প্রায় ১৯৪৮ কিমি। আরেক মহাকাশ বিশেষজ্ঞ শানমুগা সুব্রহ্মনম জানাচ্ছেন এই দুই অ্যাকটিভ রোভারের মধ্যে দুরত্ব প্রায় ১৮৯১ কিমি। তাই এই দুইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার বা ধাক্কা লাগার কোনও আশঙ্কা নেই। এদিকে গ্লোবাল টাইমসে চীনের সঙ্গে তুলনা টেনে ভারতকে জোর কটাক্ষ পরিস্কার দাবি করা হচ্ছে চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের মানে এই নয় যে ভারতের অর্থনীতি এটি থেকে উপকৃত হবে। ভারতকে সচেতন হতে হবে যে তার গন্তব্য অনেক দূরে।

ওই খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি ব্লুমবার্গে প্রকাশিত একটি আর্টিক্যালে বলা হয়েছে ভারত স্পেস সেক্টরে দ্রুত অগ্রগতি করছে। পশ্চিমী দেশগুলি থেকে চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে মতবিরোধের সুযোগ নিয়ে তারা স্যাটেলাইট উত্‍ক্ষেপণের একটি প্রধান সরবরাহকারী হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করছে, তবে এই মুহূর্তে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ভারতের পক্ষে সহজ নয়। শুধু তাই নয় ভারতের আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন গ্লোবাল টাইমসের আর্টিক্যালে এটাও বলা হয়, এটি বিশ্বাস করা যেতে পারে যে ভারত কমার্শিয়াল অ্যারোস্পেস এবং ব্রডার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছে। তবে এই সাফল্য থেকে শিল্প ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি লাভ করা সহজ নয়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের দাবি প্রথমে ভারতের প্রশংসা করলেও চীনই একমাত্র দেশ যে এই সফলতার মাঝে ব্যর্থতাকে উস্কে দিল বেজিং দিল্লির চোখে আঙুল দিয়ে এটা বোঝানোর চেষ্টা করল ভারত চাঁদে পৌঁছে গেলেও এর মানে এই নয় চীনের সঙ্গে ভারতের তুলনা করা যায়। সেই জায়গায় পৌঁছতে গেলে এখনও অনেক পথ বাকী। কিন্তু কূটনৈতিক মহলের দাবি, চীন না চেয়েও তারা নিজেরাই সেই তুলনা টানল ভারতের সঙ্গে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান মিশন সফল হওয়ার তাদের রাতের ঘুম উড়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version