Sheikh Mujibur Rahman: বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালন কলকাতায়, রয়েছে একগুচ্ছ অনুষ্ঠান

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sheikh Mujibur Rahman: আজ বাংলাদেশে (Bangladesh) আনন্দ জোয়ার। একসাথে পালন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman) ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং শিশু দিবস। আর সেই আনন্দের রেশ গিয়েছে কলকাতাতেও (Kolkata)। আদতে বাঙালি বলে কথা। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বিশেষ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

১৯২০ সালের ১৭মার্চ এই দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে সকাল ন’টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান অনুষ্ঠান। সকাল নটায় উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নটা দশ মিনিটে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণের মুজিব চিরঞ্জীব ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। নটা কুড়ি মিনিটে বাংলাদেশ গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয় একটি প্রামাণ্য চিত্র। এইভাবে একের পর এক চলতে থাকে দশটা কুড়ি পর্যন্ত নানান অনুষ্ঠান। বিকেলে বিকেল চারটার দিকে একটি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ গ্যালারী অর্থাৎ কনফারেন্স হলে শিশু কিশোররা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। বিকেল পাঁচটার দিকে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে থাকবে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু কিশোরদের পুরস্কার। বিতরণ রাত আটটায় নৈশ ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পর্ব শেষ হবে।

বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোরদের বড্ড বেশি ভালোবাসতেন। তিনি নিজের কৈশোর এবং শৈশবে স্বাধীনতা উপভোগ করেছেন। তার কাছে প্রত্যেকটা দিন ছিল বাঁধনহারা আনন্দে সমৃদ্ধ। তিনি সবসময় চাইতেন, বাংলাদেশের শিশু কিশোররা যাতে হেসে খেলে মুক্ত চিন্তায় বড় হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে তারা যাতে সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা এবং পরিবেশ পায় সে কথাও তিনি ভাবতেন। প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ই মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে শিশু দিবস পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু নিজের জন্মদিনও পালন করতেন শিশুদের নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর কথায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল বাঙালি। স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস ছিলেন তিনি। মানুষকে দিয়েছিলেন নতুন ভরসা স্থল। শিখিয়েছিলেন, কিভাবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন, সুখ সমৃদ্ধিতে ভরা এক নতুন বাংলার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version