জাত চেনালো পাকিস্তান, ISI এর মাথায় আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ! বড় কোনও ছক ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম ISI এর মাথায়। বুঝতে ভুল হয়নি ভারতের, ১৬ কলা পূর্ণ। মাফিয়া দাউদ পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির এডিজি। গুপ্তচরদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বড় কোনও ছক? এই পাকিস্তান নাকি লড়ছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে? ভাবা যায়? দাউদের কীর্তি মনে রেখেই এতো সম্মান দিল আইএসআই। সত্যিই, একেই বলে পাকিস্তান। জানেন এত বড় হামলার মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিম এখন কেমন আছেন? আর গোপনে নয়, এবার ঘোষিত ভাবে অফিসিয়ালি আইএসআই এর মাথায় বসলেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম।

না, আমরা বলছি না। কানাঘুষোও নয়। ফ্রি প্রেস জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি মানে আইএসআইয়ের এডিজি হিসাবে দাউদকে আনা হয়েছে। তবে এই পদ সাম্মানিক। পাকিস্তানের গুপ্তচর ব্যবস্থায় দাউদের কীর্তি মনে রেখেই তাঁকে দেওয়া হয়েছে এই পদ, এই সম্মান রিপোর্টে দাবি, সাম্মানিক পদের মাধ্যমে নতুন করে পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া ৬৮ বছরের কুখ্যাত অপরাধী তথা জঙ্গি দাউদ। গোপনে আইএসআইয়ের সঙ্গে তাঁর লিঙ্ক ছিলই। বহুবার ভারত এ কথা বলেছে। তবে এ বার ঘোষিত ভাবে ওই সংস্থায় আসছেন দাউদ। সবথেকে বড় প্রশ্নটা উঠছে। তাহলে কী পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন কোনও ছক কষতে চলেছেন দাউদ ইব্রাহিম? শুরু জোর জল্পনা। কিন্তু, এখন কেমন আছেন দাউদ? কিভাবে আছেন? কোথায় আছেন?

২০২৩ এর জানুয়ারি মাসে ফ্রি প্রেস জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সিকিউরিটি এজেন্সির সূত্র বলছে ২০২২ এর অক্টোবরে করাচির ক্লিফটন এলাকায় লিয়াকত ন্যাশনাল হসপিটাল এবং কম্বাইন মিলিটারি হসপিটালে যান বড় বড় চিকিৎসকেরা। জানা যায়, দাউদ ইব্রাহিমের পায়ে যে গ্যাংগ্রিন হয়েছিল সেটার ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন হওয়াতেই বিশিষ্ট সব চিকিৎসকদের এনে সেইসময় চিকিৎসা করানো হয়। বাদ দেওয়া হয় পায়ের দুটো আঙ্গুল। পায়ের আঙুল বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রথমে রাজি না হলেও, লাইফ রিস্ক হতে পারে চিকিৎসকদের এই কথা শুনেই বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে যান দাউদ। সার্জারির পর থেকে লাঠি নিয়ে চলছেন দাউদ। চলাফেরার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধা রয়েছে তাঁর। এমনকি, চেনা ছবির থেকে দাউদ ইব্রাহিম কে দেখতে এখন অনেকটাই আলাদা লাগে, দাবি ওই রিপোর্টে।

দাউদ ইব্রাহিম, ৭০ ছুঁইছুঁই বয়স। মুম্বইয়ের পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে দাউদ আশির দশকে ভারত থেকে পালিয়ে দুবাই যান। সেখান থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। শুরু হয় জঙ্গি কার্যকলাপ। শোনা যায়, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন দাউদই। পাকিস্তানে বসে এই হামলার ছক সাজিয়েছিলেন তিনি। তারপর পাকাপাকি করাচিতে থাকা শুরু। সেখানে বসেই পাকিস্তান সহ গোটা বিশ্বের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে চলেছে দাউদ। আমেরিকা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপুঞ্জ, সবার খাতাতেই বিশ্বমানের ঘোষিত জঙ্গি দাউদ। আল কায়েদা, তালিবানের সঙ্গেও দাউদের যোগ ছিল বলে অভিযোগ।

কাজ করেছেন ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও। বিশ্ব জুড়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্র চালান দাউদ। জঙ্গি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলে সেই কারবার। মাদক পাচার, বেআইনি অস্ত্রের কারবার থেকে আসা টাকা জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সাপ্লাই করার অভিযোগ রয়েছে দাউদের বিরুদ্ধে। সেই দাউদ এবার পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে ঘোষিত ভাবে হাত মিলিয়ে আরও নতুন কোনও ছক কষবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version