কানাডার ভিসায় বড় স্টেপ দিল্লির! মোদী-জয়শঙ্কর মিটিং, ট্রুডো প্যাঁ’চে পড়ে গেলেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভিসা নিয়ে ভোগান্তি কানাডার বড় স্টেপ নিয়ে নিল দিল্লি। মোদীর সঙ্গে জয়শঙ্করের জরুরী মিটিং। কানাডা ইস্যুতে নতুন কোন চরম পরিকল্পনা ভারতের? ট্রুডোর সরকার বাঁচাতে মোক্ষম সিদ্ধান্ত ভারী পড়বে। যেমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছিল সেটাই হল, দিল্লিকে এবার আর রোখা যাবে না। ভারতের কূটনৈতিক ডেস্ক ভালোভাবেই জানে ট্রুডো কেন এমনটা করছেন নিজের সরকার বাঁচাতে খালিস্তানি সংগঠনগুলোকে নিয়ে যেভাবে ট্রুডো চোখ বন্ধ করে থাকলেন তাতে ভবিষ্যতে আমেরিকাও কানাডার সাথ দেবে কিনা সন্দেহ বাড়ছে। সত্যিই কি দিল্লি কানাডা বাসীদের ভারতীয় ভিসার পরিষেবা বন্ধ করে দিল। কানাডায় থাকা ভারতীয়রা বাড়ি আসতে পারবেন না এখন। আর এরজন্য তো তারা এবার জাস্টিন ট্রুডোকেই দুষবেন। সামনেই কানাডার নির্বাচন, ট্রুডো যা করলেন তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে না তো সবটা?

এই ইস্যুর মাঝেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। কানাডার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৮২ লাখ। এর মধ্যে ২.৬% অর্থাত্‍ ৯ লাখ ৪২ হাজার ১৭০ জন পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবের লোকেরা শুধু কানাডায় কাজ করে না সেখানকার সরকারেও তাদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তাহলে এ অবস্থায় মোদী-জয়শঙ্করের মিটিংয়ে ঠিক কী আলোচনা হল? দিল্লি কী ছক কষে ফেলল। আমেরিকা সহ পশ্চিমারা কানাডার দিকে পা বাড়ালে কীভাবে কোন পথে তাদের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া হবে? বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের (অনলাইন ভিসা আবেদন কেন্দ্র) একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অপারেশনাল কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কানাডার নাগরিকদের জন্য ভারতের ভিসা সার্ভিস বন্ধের বিজ্ঞপ্তি থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে দুই দেশের সম্পর্কের ফাটল সহজে মেটার নয়।

তথ্য বলছে ভারতকে এভাবে কাঠগড়ায় তোলার প্ল্যানে কানাডার মিত্ররাও নাকি তার সাথ দেয়নি। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কানাডার সঙ্গে এই সংঘাতকে ভারত এড়়াতে না পারলেও আত্মবিশ্বাসী সাউথ ব্লক ঘরোয়া ভাবে দাবি করছে এ ব্যাপারে জাস্টিন ট্রুডো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারতের বিরুদ্ধে চাইলেও খেপিয়ে তুলতে পারবেন না‌। তবে সেই চেষ্টা নাকি আগেই কানাডার তরফে করা হয়েছিল বলে খবর। ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোদের তির ছোড়ার আগে কানাডার সরকারি কর্তারা নাকি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ দেখা করে কথা বলেছিলেন কিন্তু তাতে কোনও কাজ হল কী আদৌ? ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত খবর বলছে না তাতে বিশেষ কোনও কাজ হয়নি। ভারতের বিরুদ্ধে কোনও নেতিবাচক বিবৃতি দিতে রাজি হয়নি তারা তবে কানাডার অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া‌ এবং ব্রিটেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সেটা  ভারত কানাডার ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে কিন্তু এর শেষ কোথায়? প্রশ্নটাই এখন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version