।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারত বাংলাদেশের অপরাধীদের আস্তানা হয়ে উঠেছে কানাডা। যেন খুনি সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া! যাদের জন্য অপেক্ষা করছে মারাত্মক শাস্তি, তাদেরকেই আগলে রেখেছে দেশটা। আশ্রয় দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে! আড়াল করছে অপরাধীদের। শুধু ভারতই নয়, কানাডার সিদ্ধান্তে তীব্র ভুক্তভোগী বাংলাদেশও। ব্যর্থ সব আলাপ আলোচনা। কিছুতেই বাংলাদেশে ফেরানো যাচ্ছে না নূর চৌধুরীকে। কারণটা কী? কেন হত্যাকারীদের এত প্রশ্রয় দিচ্ছে জাস্টিন ট্রুডোর দেশ?
ভারত কানাডার সম্পর্ক এখন তলানিতে। হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক টানাপোড়নের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক। ভারত কিন্তু বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, কানাডার মাটিতে মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্থানপন্থী জঙ্গিরা। কানাডার মাটিকে ব্যবহার করছে ভারত বিরোধী কাজে। ভারতে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪৩ জন গা ঢাকা দিয়েছে কানাডায়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে হট টপিকের মতো জ্বলজ্বল করছে আর একটা খবর।
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার শেষ হয়েছে প্রায় ১৩ বছর হল। কিন্তু বহু হত্যাকারী এখনো শাস্তি পাননি। সাজাপ্রাপ্ত নূর চৌধুরী বহাল তবিয়াতে রয়েছেন কানাডায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দায়ে নূর চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তিনি সে ১৯৯৬ সাল থেকে কানাডায় বসবাস করছেন। আজ পর্যন্ত শত চেষ্টা করেও তাকে কানাডায় ফিরিয়ে আনা যায়নি। বাংলাদেশ সরকারও বিষয়টা নিয়ে বেশ তৎপর। কয়েক মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডা সরকারকে এক হাত নিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। শেখ মুজিবুর রহমানের দুই খুনি আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডায়। বাংলাদেশের বক্তব্য, নানান অজুহাত দেখাচ্ছে কানাডা। বাংলাদেশ এর আগে প্রশ্নও তুলেছে, যেসব দেশ মানবিকতার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, সেই দেশেই লুকিয়ে রয়েছে আত্মস্বীকৃত খুনিরা, যা অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার। বাংলাদেশ বারবার দাবি জানিয়েছে, নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য। কিন্তু কোন কথাই কানে নিচ্ছে না কানাডা। শুধু তাই নয়, কানাডার কোর্টে বাংলাদেশ নূর চৌধুরী সম্পর্কে জানতে চাইলেও কোন তথ্য দেয়নি। এখানেই ঘটে গিয়েছে বড় কান্ড। বাংলাদেশ নাকি বাংলাদেশের কোর্টে নূর চৌধুরীকে ফাঁসির রায় দিয়েছে। কানাডার যুক্তি, যে সমস্ত দেশের ফাঁসির আইন রয়েছে সেই সমস্ত দেশে তারা পাঠাবে না। একজন পলাতককে অন্য দেশের মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি করা যাবে না।
বাংলাদেশ আর কানাডার মধ্যে কিন্তু কোন বিরোধ নেই। বরং দুই দেশের মধ্যে বজায় রয়েছে সুসম্পর্ক। দ্বিপাক্ষিক থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক, যে কোনো বিষয়ে দুই দেশই একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু খটকা সেই এক জায়গায়। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাজাপ্রাপ্ত নূর চৌধুরীকে প্রায় ২৬ বছর ধরে আশ্রয় দিয়ে আসছে কানাডা। কানাডা এমন একটা দেশ যে দেশটা বারংবার মানুষের সংরক্ষণ থেকে শুরু করে অধিকার সুরক্ষা নিয়ে কথা বলে। সেই কারণে বিশ্বব্যাপী কুড়োচ্ছে প্রশংসা। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই যায়, তাহলে কি কানাডা ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে সন্ত্রাসবাদী অপরাধীদের আখড়া? যার কারণে ফল ভুগতে হচ্ছে ভারত বাংলাদেশকে। আপনারও কি তাই মনে হয়? মতামত জানাতে পারেন আমাদের কমেন্ট বক্সে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম