কানাডাকে চরম সায়েস্তা করল দিল্লি! RAW কে সবক শেখানোর চেষ্টা ট্রুডোর, গোল খেলেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

কানাডাকে বড় সবক শেখালো দিল্লি। RAW কে সায়েস্তা করার চেষ্টা করা হয়েছিল! এমনভাবে ধরা পড়ে যাবেন স্বপ্নেও ভাবেননি জাস্টিন ট্রুডো। মাত্র ৫ দিন সময় কাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ? কানাডা নিজেদের বিপদ ডাকল নিজেরাই। জি২০র আগে থেকেই সম্পর্ক খারাপের দিকে যাচ্ছিল কিন্তু দিল্লি যে হঠাৎ এমন কড়া স্টেপ নেবে কল্পনাও করতে পারেনি কানাডা। ইঁটের বদলে এ যেন সরাসরি পাটকেল। কানাডার হাই প্রোফাইল কূটনীতিককে বহিস্কার করা হল ভারত থেকে। কেন ভারতে বসেই কী কোনও ভারতবিরোধী ছক কষছিলেন তিনি? এর কতবড় প্রভাব পড়তে পারে?

জেনে রাখবেন আগুনে ঘি ঢালার কাজটা কিন্তু প্রথম শুরু করেছিল কানাডাই। দিল্লি পাল্টা দেখিয়ে দিল কীভাবে সবক শেখাতে ভারতও পারে। বহিস্কারের পাল্টা খেল হল বহিস্কারেই শেষ। কানাডার খালিস্তানপন্থী নাগরিক হরদীপ সিংহ নিজ্জরের মৃত্যুতে সরাসরি দিল্লিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপরই আচমকা বহিষ্কার করা হয় ভারতীয় কূটনীতিক পবনকুমার রাইকে। জানেন কে এই পবনকুমার রাই? কানাডার এই স্টেপের পরই কূটনীতিবিদরা অনুমান করেছিলেন এবার দিল্লি কোনওমতেই হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। ব্যাস দ্রুত অ্যাকশন শুরু সোজা পাঁচদিনের নোটিশ ধরানো হল কানাডার হাতে। তথ্য বলছে সোমবার ভারতীয় কূটনীতিক পবনকুমার রাইকে বহিস্কার করে কানাডা। মঙ্গলবার সকালে ভারতে কানাডার হাই কমিশনার ক্যামেরন ম্যাকে-কে তলব করে বিদেশমন্ত্রক। সাউথ ব্লক থেকে তিনি বেরনোর পরই কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দেওয়া হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে। বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ কানাডার হাই কমিশনারকে তলব করা হয়েছিল ভারতে সে দেশের এক কূটনীতিককে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে ওই কূটনীতিককে।

কে সেই কূটনীতিক তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এবার আসি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের কথায়। ১৮ জুন সারি-তে শিখদের একটি মন্দিরের বাইরে গুলি করে খুন করা হয় হরদীপ সিং নিজ্জরকে। কানাডায় শিখ নেতা হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। কানাডার দাবি এর হত্যার সঙ্গে ভারতের RAW যুক্ত। সম্ভবত সেই কারণেই ভারতের গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর প্রাক্তন প্রধানয়১৯৯৭ ব্যাচের আইপিএস অফিসার দেশের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক পবনকুমার রাইকে সোমবার বহিষ্কার করে কানাডা সরকার। এমনকি কানাডার রাজনীতিকদের সিংহভাগই ভারতের দিকে আঙুল তুলেছেন। যদিও ভারতের তরফ থেকে পুরোপুরি এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয় “দেশের পার্লামেন্টে কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁদের বিদেশমন্ত্রী যে দাবি করেছেন তা খারিজ করছে, ভারত ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগ অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিশেষজ্ঞদের দাবি বর্তমানে ভারত ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে গেল ভারতীয় কূটনীতিকে বহিষ্কারের ঘটনাও দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বাড়িয়ে তুলেছে। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল এই ঘটনা। এবার দেখার এই ইস্যুতে জল কোনদিকে গড়ায়?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version