।। প্রথম কলকাতা ।।
Kolkata Police Exam: সামনেই রয়েছে কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষা। যেখানে বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, PMT and PET, মেন পরীক্ষা, ইন্টারভিউ তারপর ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন আর মেডিক্যাল। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় থাকবে ১০০ টি এমসিকিউ প্রশ্ন। সময় পাবেন এক ঘন্টা। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, তবে মনে রাখবেন নেগেটিভ মার্কিং রয়েছে। জেনারেল নলেজ থেকে থাকবে ৪০টি প্রশ্ন, অঙ্ক থেকে থাকবে ৩০টি এবং রিজনিং থেকে থাকবে ৩০ টি প্রশ্ন। যারা অঙ্কে একটু ভীতু, তারা বেশি করে রিজনিং এবং অঙ্ক প্র্যাকটিস করেন, তবে জেনারেল নলেজকে কম গুরুত্ব দিলে একদম ভুল হবে। কারণ এখান থেকে বেশি নম্বর তোলার সুযোগ থাকে।
• মেইন পরীক্ষা
মেইন পরীক্ষায় থাকে ৮৫টি প্রশ্ন। ৮৫ নম্বরের পরীক্ষা। সময় দেয় এক ঘন্টা। এটিও এমসিকিউ ধরনের। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং নেগেটিভ মার্কিং থাকে। জেনারেল নলেজ থেকে থাকে ২৫ টি প্রশ্ন, ইংরেজি থেকে ১০টি, অঙ্ক থেকে ২৫ টি এবং রিজনিং ও লজিক্যাল অ্যানালিসিস থেকে ২৫ টি। মেইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই প্রার্থীদের ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। এখানে থাকে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা। মূলত মেইন পরীক্ষার ৮৫ আর ইন্টারভিউয়ের ১৫ যোগ করলে হয় ১০০। এর উপর ফাইনাল মেরিট লিস্ট প্রকাশিত হয়।
• পেট পরীক্ষা
এক একটি ধাপ পেরিয়ে তবেই আপনাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে হবে। প্রথমে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করলে আপনাকে ডাকা হবে ফিজিক্যাল মেজারমেন্ট টেস্ট অর্থাৎ পিএমটি-তে। এখানে পাশ করলে আপনাকে ডাকা হবে ফিজিক্যাল এফিশিয়েন্সি টেস্ট অর্থাৎ পেট পরীক্ষায়। এখানে পুরুষ প্রার্থীদের কনস্টেবল পদের জন্য ৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে প্রায় ১৬০০ মিটার দৌড়াতে হয়, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে ৮০০ মিটার দৌড় সম্পূর্ণ করতে হয়। এখানে পাশ করলে আপনি মেইন পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কনস্টেবল পদের জন্য ছেলেদের উচ্চতা হতে হয় ১৬৭ সেমি, ওজন ৫৭ কেজি। মেয়েদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ১৬০ সেমি এবং ওজন ৪৯ কেজি। তবে গোর্খা, রাজবংশী, শিডিউল ট্রাইবস এবং গাড়োয়ালিসদের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।
• শিক্ষাগত যোগ্যতা
এই পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে মাধ্যমিক কিংবা সমতুল শিক্ষা যোগ্যতা থাকতে হবে। ওই প্রার্থীকে বাংলা পড়তে, লিখতে এবং বলতে জানতে হবে। যদিও দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় রয়েছে।
• ট্রেনিং পিরিয়ড
আপনি সমস্ত পরীক্ষায় পাস করে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলে ভাববেন চাকরি পেয়ে গেছেন। তারপর চলে ট্রেনিং পিরিয়ড। তার জন্য বিশেষ অ্যাকাডেমি রয়েছে। এটিকে রীতিমত কড়াকড়ি স্কুল বলা যায়। যেখানে এক সেকেন্ড সময় এদিক-ওদিক হলেই সর্বনাশ। দিনে দুই থেকে তিনবার attendence নেওয়া হয়, তাও আবার রোল কল করে। সেই ভোর চারটে থেকে উঠে প্রথমে বড় মাঠে সার বদ্ধ ভাবে দাঁড়াতে হয়। সেই ভোরেই শুরু হয় ছুট। মোটামুটি তিন থেকে চার কিলোমিটার গ্রাউন্ডে ছুটতে হয়। এরপর এক একটি ধাপে রয়েছে পিটি, বিভিন্ন ব্যায়াম যা শরীরের স্ট্যামিনা বাড়ায় এবং শরীরকে মজবুত করে। ট্রেনিং এর শুরুতেই প্রার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু পোশাক এবং বেশ কয়েক রকমের জুতো দেওয়া হয়। ট্রেনিং চলাকালীন সময় ম্যানেজমেন্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা একটু লেজি তারা বেশ মুশকিলে পড়েন। আসলে এর মাধ্যমে শেখানো হয় সময়ের গুরুত্ব ঠিক কতটা।
ট্রেনিংয়ে প্যারেড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেনিং চলাকালীন কিন্তু কেউ ছুটি পান না, শুধুমাত্র এমার্জেন্সির কারণে ছুটি দেওয়া যায়। ট্রেনিংয়ে প্রার্থীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু পিটি বা এক্সারসাইজ চলাকালীন তা নিষিদ্ধ। ট্রেনিং চলাকালীন একটার পর একটা ক্লাসের সিডিউল থাকে যেমন যোগব্যায়াম, ক্যারাটে ক্লাস। এছাড়াও ট্রেনিং চলাকালীন ডিউটি আওয়ার্স থাকে। সংযুক্ত থাকে বিভিন্ন শারীরিক কসরত, যেমন মাটির উপর সারিবদ্ধভাবে একদল শুয়ে থাকবে, আর তার উপর দিয়ে কয়েকজন গড়িয়ে যাবে। মোটামুটি ভাবে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলদের ৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। তবে সময়ের উপর নির্ভর করে ডিউটির সময়। বিশেষ করে পুজোর সময় নাকা চেকিংয়ের ক্ষেত্রে। ছুটি পাওয়া যায় EL ৩০ টা, CL ১৪ টা, আর CCL ১৫টা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম