।। প্রথম কলকাতা ।।
Mamata Banerjee: পরনে ধনেখালি তাঁত। যদিও এই শাড়ি ছাড়া অন্য শাড়িতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। তবে সাদা তাঁতের শাড়ি পরতে বড্ড ভালোবাসেন। এছাড়াও ভালবাসেন প্রকৃতিকে। তাই বারবার প্রকৃতির টানে চলে যান হিমালয় কিংবা জঙ্গলমহলে। তাঁর চলার পথে বড্ড ব্যস্ততা। অনায়াসে গল্প করতে করতে হাঁটতে পারেন প্রায় দশ কিলোমিটার পথ। প্রতিদিন ট্রেডমিলেও বেশ কয়েক কিলোমিটার হাঁটার অভ্যাস রয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের রাজনৈতিক ময়দানে তিনি খুব চর্চিত মুখ। তাঁর লড়াই শুরু হয়েছিল একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে। আজ তিনি রাজ্যের ক্ষমতার মসনদে। ছোট থেকে বড় হয়েছেন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে। খুব অল্প বয়সেই হারিয়েছেন বাবাকে। একদিকে সংসার সামলানো, অপরদিকে নিজের পড়াশোনা। ছোট থেকেই লড়াইয়ের সঙ্গে বড় হওয়া এই নারী আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of West Bengal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ১৯৫৫ সালের ৫ই জানুয়ারি তাঁর জন্ম।
মাত্র ২১ বছরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন। তাঁর কয়েক বছর পর নিখিল ভারত যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। রাজনৈতিক সমালোচনার পাশাপাশি তাঁর প্রচণ্ড লড়াকু মনোবৃত্তি আর পরিশ্রম করার ক্ষমতার জন্য বারবার বাহবা পেয়েছেন। তাঁর দীর্ঘ কয়েক দশকের রাজনৈতিক জীবন উত্থান পতনে ভরা। যদিও প্রথম থেকেই তিনি বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত একজন দাপুটে নেত্রী হিসেবে। আজ অর্থাৎ ২০২৩ এর ৫ই জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন।
১৯৫৫ সালে দক্ষিণ কলকাতায় এক দরিদ্র পরিবারের জন্ম। ৬৮ বছর বয়সী মুখ্যমন্ত্রীর ফেলে আসা বছর গুলিতে রয়েছে প্রচুর সংগ্রাম। এখন তিনি রাজনৈতিক কেরিয়ারের সাফল্যের শীর্ষে রয়েছেন। অথচ বারংবার একটা সময় তিনি নির্বাচনের ধাক্কা সামলেছেন। যদিও ভেঙে পড়েননি। প্রতিবার দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তাইতো তাঁর নামের সঙ্গে আজ যোগ হয়েছে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’র মতো বিশেষণ। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন। অল্প বয়সে বাবাকে হারানোর পর ছোট ভাই বোন আর মায়ের দায়িত্ব পড়ে তাঁর উপর। একদিকে কাঁধে ছিল গোটা পরিবারের ভার, অপরদিকে নিজের পড়াশোনা। দুটো একসাথে সমান তালে ব্যালেন্স রেখে লড়াই করেছেন। একে একে অর্জন করেছেন স্নাতক আর স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি। তারপরে ল নিয়ে পড়াশোনা করেন।
কংগ্রেসের হাত ধরে সক্রিয়তের রাজনীতিতে এসেছিলেন। সময়টা তখন ১৯৭০এর দশক। রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয় ১৯৭৫ সাল থেকে। টানা চার বছর তিনি পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সমালোচন। তারপর যাদবপুরের কেন্দ্র থেকে সেই সময়কার দাপুটে নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে ১৯৮৪ সালে হন দেশের কনিষ্ঠতম সাংসদ। এছারাও বেশ কয়েকবার সামলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব। লাগাতার সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি জয় করে নিয়েছেন বাংলার মানুষের মন। ২০১১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শাসকের ভূমিকায় আসেন। দেখতে দেখতে প্রায় ১০ বছরের বেশি হয়ে গেছে। তাঁর দল কিংবা রাজনীতি নিয়ে যতই সমালোচনা থাকুক না কেন, জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব অস্বীকার করার জায়গা নেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম