।। প্রথম কলকাতা ।।
Siliguri Murder: কয়েকদিন আগেই দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ড নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল সারা দেশ। ঠিক দিল্লি কাণ্ডের ছায়া এবার শিলিগুড়ির (Siliguri) একটি ঘটনায়। স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত এমন সন্দেহের বশে ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ স্বামীর। স্ত্রীর দেহ দু-টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। পুলিশি তদন্তে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হলেও মাথা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে শুক্রবার ওই মহিলার ধর থেকে আলাদা মাথা খুঁজে পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শিলিগুড়ি ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনির বাসিন্দা হলেন রেনুকা। তা্র স্বামী মহম্মদ আনসারুল গত ২৪ ডিসেম্বর রেনুকাকে কলেজ পাড়ায় বিউটিশিয়ান এর কাজ শিখতে দিয়ে এসেছিলেন। সেখান থেকে নিয়ে আসার পর তিনি ঘুরতে যাওয়ার নাম করে স্ত্রীকে নিয়ে যান ফাঁসিদেওয়ার (Phansidewa) গোয়ালটুলি মোড়ে। সেখানেই খুন করা হয় রেনুকাকে। এরপর মেয়ে নিখোঁজ এই মর্মে রেনুকার পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করতে শুরু করলে সন্দেহজনক মনে হয় স্বামী (Husband) আনসারুলের কথাবার্তা। কাজেই আটক (Arrest) করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
প্রথমদিকে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে গেলেও বৃহস্পতিবার তিনি পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন। অন্যদিকে আগেই পুলিশ একটি ক্যানেল থেকে রেনুকার মাথাহীন দেহ চটের বস্তায় বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। সেই দেহটিকে ফাঁসিদেওয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই আরও একটি চটের বস্তার মধ্যে রেনুকা খাতুনের মাথা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় রেনুকার পরিবারের এক সদস্য মিন্নাতুল্লা বলেন, আনসারুল রেনুকার বিরুদ্ধে পরকীয়ায় জড়িত থাকার মিথ্যে অভিযোগ এনেছিল। আসলে সে নিজেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিল । সেই কারণেই ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে এমন নৃশংসভাবে খুন (Murder) করা হয় রেনুকাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম