Lalbazar: নাকা চেকিংয়ে ব্যবহার হবে বডি ক্যামেরা, ট্রাফিক গার্ডকে একগুচ্ছ নির্দেশ লালবাজারের

।। প্রথম কলকাতা ।।

Lalbazar : শহরের বুকে নাকা চেকিং নিয়ে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল লালবাজার। ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফ থেকে সমস্ত থানা এবং ট্রাফিক কার্ডকে নির্দেশনামা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একগুচ্ছ নির্দেশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ট্রাফিকে কর্মরত পুলিশকর্তাদের। এবার থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই এমন জায়গায় নাকা পয়েন্ট করা যাবে না। এছাড়াও নাকা চেকিং এর সময় পুলিশ অফিসারদের ব্যবহার করতে হবে বডি ক্যামেরা। মূলত পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বিখ্যাত গায়ক ওস্তাদ রশিদ খান এবং তাঁর স্ত্রীকে যে হেনস্থা শিকার হতে হয়েছে তারপর থেকে নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার।

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, লালবাজারে তরফ থেকে এই নির্দেশিকা বৃহস্পতিবার রাতে জারি করা হয়। সেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে এমন কোন এলাকায় নাকা পয়েন্ট করা যাবে না যেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। একমাত্র সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেই জায়গাতেই পুলিশের নাকা পয়েন্ট হবে। যাতে নাকা চেকিং এর সমস্ত দৃশ্য সহজেই ওই ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এছাড়াও নাকা চেকিং ডিউটিতে যে সকল পুলিশ অফিসাররা থাকবেন তাঁরা ব্যবহার করবেন বডি ক্যামেরা।

এতে সেই সময়কার প্রত্যেকটি দৃশ্য একেবারে নিখুঁতভাবে ভিডিও রেকর্ড হবে। আর সেই রেকর্ডগুলি সংরক্ষণ করবে লালবাজার। এতে আরও বেশি স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও কোথায় কবে নাকা পয়েন্ট করা হচ্ছে সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য প্রত্যেকটি ট্রাফিক গার্ডকে পৌঁছে দিতে হবে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে। এবার থেকে এই ভাবেই ট্রাফিক গার্ডকে নাকা চেকিং করতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। উল্লেখ্য, সমস্যার সূত্রপাত হয় কয়েকদিন পূর্বে। ওস্তাদ রশিদ খানের স্ত্রী জয়িতা বসু খান কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন হয়রানির।

তিনি অভিযোগে জানান, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের একটি ট্রাফিক সিগন্যালে তাদের গাড়ি থামানো হয়। আর তারপর কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক গার্ডে কর্মরতরা ঘুষ চান গাড়ির ড্রাইভারের কাছ থেকে। তা দিতে অস্বীকার করলেই পুলিশ তাদের গাড়িটি নিয়ে যায় প্রগতি ময়দান থানায়। পরবর্তীতে রশিদ খানের স্ত্রী গাড়ি এবং গাড়ির চালককে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তাঁর সঙ্গে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক দুর্ব্যবহার করেন। বিষয়টি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় রশিদ খানকে খোদ প্রগতি ময়দান থানায় যেতে হয়। আর তারপরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version